বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। গতকাল ২৮ অক্টোবর এই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে হামলা করে অসংখ্য মানুষকে আহত করেছে, পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দেশের জনগণ জানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার হল ভোট চোর সরকার, রাতের ভোটের সরকার। তারা জনগণের মতের কোনো তোয়াক্কা করে না। বিগত পনের বছরে দেশের মানুষের সকল অধিকার স্বৈরাচার আওয়ামী গোষ্ঠী কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আজ ২৯ অক্টোবর রবিবার সকালে রাজধানীর পল্টননে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশে একথা বলেন। মহাসমাবেশে বাধা, অবৈধ গ্রেফতারের প্রতিবাদ, আমীরে জামায়াত সহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি, কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে আহুত হরতালের সমর্থনে পল্টন থানার উদ্যোগেমিছিল ও পিকেটিং এ আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খান, সুলতান আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জনগণ এখন রাস্তায় নেমে এসেছে, তাদের অধিকার না নিয়ে তারা আর ঘরে ফিরে যাবে না। তাই এখন এক দফা দাবি তা হল শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে। গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ সহ সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। এই অবৈধ সরকারকে আর এক মূহুর্তও দেশের জনগণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চাই না। এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে আমরা মাঠে নেমেছি, জীবনের বিনিময়ে হলেও রক্ত দিয়ে এই সরকারকে বিদায় করে মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
*বংশাল থানা*
মহাসমাবেশে বাধা প্রদান, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে হরতাল সমর্থনে আজ মিছিল ও পিকেটিং করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বংশাল থানা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এসময় আর উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আহসান উল্লাহ, আবুল কাশেম, মতিউর রহমান, শামিমুল বারী, আনিসুর রহমান, আব্দুল ওহাব সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা আন্দোলন ও সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সরকার আমাদের এই ন্যায়সংগত আন্দোলন দমন করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশে বাধা প্রদান করেছে। বিরোধী মতের সমাবেশে হামলা করে মানুষ হত্যা করেছে। আমীরে জামায়াত সহ নেতাকর্মীদের মুক্তি, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
*গেন্ডারিয়া থানা*
মহাসমাবেশে বাধা, অবৈধ গ্রেফতারের প্রতিবাদ, আমীরে জামায়াত সহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি, কেয়ারটেকার সরকারের দাবীতে আহুত হরতালের সমর্থনে গেন্ডারিয়া থানার উদ্যোগে রাজধানীর সায়েদাবাদ রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় মিছিল-পিকেটিং অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসানের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য রবিউল ইসলাম জামায়াত নেতা আবু নোমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
*যাত্রাবাড়ী জোন*
আমীরে জামায়াত সহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি, মহাসমাবেশের বাধা, কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে আজকের সকাল সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে যাত্রাবাড়ী জোনের উদ্যোগে রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায় মিছিল-পিকেটিং অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুর রহমান, আরও উপস্থিত ছিলেন, মু. শাহজাহান খান, বায়জিদ হাসান, মাওলানা জুনায়েদ, মাওলানা খাদেমুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
*মতিঝিল থানা*
আজকের সকাল সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে মতিঝিল থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং হরতাল পিকেটিং অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে এসময় অরোও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য শামীমুল বারী, মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
*হাজারীবাগ থানা*
আজকের সকাল সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে মতিঝিল থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং হরতাল পিকেটিং অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের কর্মপরিষদ সদস্য নুরুন্নবী মানিকের নেতৃত্বে এসময় অরোও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মুজিবুর রহমান খান, শহিদুল ইসলাম সোহেল, মাহফুজ আলম, আখতারুল আলম সোহেল ও মাহবুব আলম সহবিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।