বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ রাজধানীর বাসাবো এলাকায় নির্বাচন কমিশনের ‘একতরফা’ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব প্রদান করে বলেন, দেশের মূলধারার বিরোধী দল ও অধিকাংশ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের ‘একতরফা’ তফসিল ঘোষণা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো। এরমধ্য দিয়ে দেশকে একটি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী সরকারের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নীল নকশার অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন এই তফসিল ঘোষণা করেছে। আওয়ামী সরকার এই আজ্ঞাবহ কমিশনের অধীন নির্বাচন দিয়ে বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ফাঁকা মাঠে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু জনগণ সরকারের এই খায়েশ পূরণ হতে দেবে না। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচনে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩টি ভোট দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব কতটুকু। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম ইতিহাসে জাতীয় বেঈমান হিসেবে লেখা হলো। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আজ জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকার রাজপথে নেমে এসেছে। আমরা বর্তমান এই স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিতের মাধ্যমে জনগণের অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
আমরা দাবি করে আসছি নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ আটক নেতা-কর্মীর এবং আলেম- ওলামাদের মুক্তি। কিন্তু সরকার তাতে কোনো কর্ণপাত করছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা জনগণের সাথে চরম প্রতারণা। এটি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়। অবিলম্বে এই তফসিল বাতিল করতে হবে, নইলে জনগণকে সাথে নিয়ে এই তফসিল বাতিল করতে বাধ্য করা হবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মহানগরী মজলিশে শুরার সদস্য শাহীন আহমেদ খান, ছাত্রশিবিরের মহানগরী পূর্বের সভাপতি অহিদুল ইসলাম আকিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।