৪ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ মিছিলের পরে শাহবাগ থানা আমীরকে তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হতে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে যাওয়া, পল্টন থেকে একজনকে গ্রেফতার এবং ৫ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে ফেরার পথে বংশাল থেকে ৫ জন ও মিছিল পরবর্তী সময়ে কদমতলী থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
বিবৃতিতে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শাহবাগ থানা আমীর আহসান হাবিবকে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ বিনা অভিযোগে সাদা পোষাকের পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। অন্য সকলকে শুধুমাত্র সন্দেহমূলকভাবে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারী পরওয়ানা না থাকার পরেও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। আমি পুলিশের এই অন্যায় গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে থানায় থানায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ এই ঘোষিত কর্মসূচিকে বিঘ্ন ঘটাতে মহানগরী জুড়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে তল্লাশি চালিয়েছে। অভিযানকালে তারা অফিস বাসা বাড়িতে থাকা লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো দেখাচ্ছে যা অত্যন্ত অমানবিক। সরকার আজ গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় নাগরিকগণ নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া মিটিং-মিছিল করা যে কোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জালেম সরকার গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। দেশের জনগণ আজ জেগে উঠেছে। আমরা সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গ্রেফতার এবং অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে চলমান গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জনগণের চাওয়া পূরণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।