বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জজকোর্ট আইনজীবী শাখার উদ্যোগে আজ ঢাকা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রাহি) স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। ঢাকা জজকোর্ট আইনজীবী শাখার সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন ও আল্লামা সাঈদী পুত্র মাসুদ বিন সাঈদী। ঢাকা জজকোর্ট আইনজীবী শাখার সেক্রেটারি এডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট লুৎফর রহমান, এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, এডভোকেট রেজাউল হক রিয়াজ, এড. জাহাঙ্গির হোসেন, এড. সাইফুল্লাহ ইসলামাবাদী, এড. আব্দুল মালেক ইমন, অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল। আরও উপস্থিত ছিলেন এড. মহিউদ্দিন, এড. ইউনুছ সুমন, এড. হাসানুল বান্না, এড. ফোরকানুজ্জামান, এড. আবু হানিফ সহ অন্যান্য আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।
এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আল্লামা সাঈদী ছিলেন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র প্রেরণার উৎস। মাওলানা সাঈদী বাংলাদেশে কিচ্ছা কাহিনির প্রচলিত ওয়াজ মাহফিলের পরিবর্তে তাফসিরুল কুরআনের নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। তিনি সরাসরি কুরআনের তাফসীর মানুষের সামনে তুলে ধরতেন। পুরো পৃথিবীতে আজ সাঈদীর দেখানো সেই ধারায় কুরআনের তাফসির শুরু হয়ে গেছে। ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয় বরং ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা তা এদেশের মানুষের সামনে তিনি তুলে ধরেছেন। জামায়াতে ইসলামী মানুষের কাছে কুরআনের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তার তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের মাধ্যমে এই কাজকে আরও বেগবান করেছেন। লাখ লাখ মানুষের সামনে তিনি কুরআনকে সহজ করে বুঝিয়ে দিতেন। তার উপস্থাপনায় জনগণের মনের মাঝে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ ছবি অংকিত হয়ে যেত। শুধুমাত্র মুসলমানদের কাছেই নয় বরং হিন্দু সহ সকল ধর্মের মানুষের কাছে ইসলাম ও কুরআন হাদিসের বক্তব্যের পরিস্কার ধারণা তিনি বুঝিয়ে দিতেন। আমরা তার জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ স্থানে সম্মানিত করেন আমীন।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি যুব সমাজকে সচেতন করতেন। আজ দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত নেই বলেই জনগণের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এসব কথার ইংগিত আল্লামা সাঈদী বহু বছর পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আজ দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ কারাগারে বন্দি। মাওলানা মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি আমীর হামজা সহ সকল ওলামায়ে কেরামগণকে দেশের তৌহিদী জনতা আজ মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে কারাবন্দি আলেমদেরকে মুক্ত করতে হবে। আজকে আইনজীবী নেতৃবৃন্দ দেশের এই সংকট উত্তরণে সার্বিক সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেছেন। জামায়াতে এদেশের নিপিড়িত মজলুম সংগঠন। দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও মানবতা রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্য পূরণে তিনি আইনজীবীদের সামনে থেকে ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।