১লা আগষ্ট সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্র নেতৃবৃন্দ, শৃঙ্খলা ও সেচ্ছাসেবক উপকমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামী ১লা আগষ্ট জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ছাত্র নেতৃবৃন্দ, শৃঙ্খলা ও সেচ্ছাসেবক উপকমিটির সাথে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত নেতৃবৃন্দের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে দেলওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন। ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য আব্দুর রহিম জীবন, শাহীন আহমদ খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী আবির হোসেন, ঢাকা মহানগরী পুর্বের সেক্রেটারি মোজাফফর হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি সাফওয়ান আহমেদ, ঢাকা কলেজের সেক্রেটারি আনিসুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আগামী ১লা আগস্ট জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি চলছে। শান্তিপুর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য আজকে ছাত্র নেতৃবৃন্দ, শৃঙ্খলা ও সেচ্ছাসেবক উপকমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের এই সমাবেশ কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য, এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে জনগণের মুক্তির জন্য। ফলে এই সমাবেশকে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে সেচ্ছাসেবক ভাইদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশে নৈরাজ্য ও দূর্বৃত্তায়ন প্রতিষ্ঠা করেছে। জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাপন দুর্বিষহ করে তুলেছে। ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন ও সংবিধান নিজেদের মতো করে তৈরি করেছে। দফায় দফায় ভোজ্য তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। দেশের এই পরিস্থিতিতে আমরা বসে থাকতে পারি না। জামায়াতে ইসলামী একটি নিপিড়িত মজলুম সংগঠন। দেশের মানুষ ও মানবতা রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই, এমনকি মানুষের জান ও মালেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। সরকার তার সামগ্রিক ব্যর্থতায় দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সরকার বিরোধী মতকে দমনের জন্য নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের মুক্তির জন্য ১০দফা ঘোষণার পরপরই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। দীর্ঘদিন থেকে নায়েবে আমীর আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন, শাহজাহান চৌধুরী সহ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে রেখেছে। তাদের জামিন হওয়ার পরেও মুক্তি না দিয়ে বারবার কারাফটক থেকে আটক করছে। আমরা অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ গ্রেফতারকৃত সকল জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামাদের মুক্তি চাই। অন্যথায় তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে তাদের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি ১লা আগস্ট রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের সমাবেশে দলে দলে যোগদান করার জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
দেলওয়ার হোসাইন বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন চলছে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশের আপামর জনগণের সার্বিক কল্যাণে জামায়াত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনের নামে আরও একটি প্রহসন বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করতে মরিয়া হয়ে গেছে। তাই কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন ভাবেই এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা সমাবেশ বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসন সহ সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।