বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ডেমরা থানার উদ্যোগে আয়োজিত জনসচেনতা সৃষ্টি ও মশারী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শেখ শরিফ উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আলী, শাহিন আহমদ খান প্রমুখ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া জরুরি ছিলো। ফলশ্রুতিতে এখন হাসপাতাল গুলোতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, সেখানে রোগী ভর্তি রাখার সুযোগ নেই। ডাক্তারগণ এখন বাধ্য হয়েই বলছেন আপনারা বাড়িতেই থাকেন সেখানেই চিকিৎসা গ্রহণ করেন। রোগীর অনেক ক্ষেত্রে আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার চরম নাজুক ও দুরাবস্থার চিত্র ফুঁটে উঠেছে। আজকে এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য দরকার ছিলো সরকারি ভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা। অথচ আওয়ামী সরকার বিরোধী দল মতকে প্রতিরোধ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা জনগণের স্বার্থের দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ করছে না। আওয়ামী গোষ্ঠী চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের আন্দোলন সংগ্রাম প্রতিহত করতেই ব্যস্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিধন করার জন্য তারা অসাংবিধানিকভাবে শক্তি প্রয়োগ করে চলছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বছরের সব সময় সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পরিবেশকে সুন্দর রাখার জন্য নানা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণ মনে করে এই ঢাকা মহানগরীর সিটি কর্পোরেশন অফিস গুলো পঙ্গু কর্পোরেশন অফিস। এগুলো এখন দলীয় আখড়াই পরিনত হয়েছে। নাগরিকের কোন সুবিধার ব্যবস্থা এসব অফিসে বসে করা হয় না। আজকে সরকারকে আহ্বান করে কোন লাভ নেই তারা জনস্বার্থে ডেঙ্গু এডিস মশা নিধন করবে না বরং তারা নিধন করবে বিরোধী দল, তারা নিধন করবে সমাজে অন্যদের ভালো কাজ গুলো। তারা নিধন করবে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের। প্রয়োজনে তারা বিচারিক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশের সচেতন নাগরিকদের ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। সিলেটে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো সেই সমাবেশকে প্রতিহত করার জন্য সরকার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজকে জনগণ ফুঁষে উঠেছে, ফলে জনগণের কল্যাণে কাজ করারও সরকারের আর কোনো সুযোগ নেই। যার কারণে আওয়ামী সরকারের কাছে আর আহ্বান জানিয়ে কোন লাভ নেই। এখন নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।