বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, তাকওয়া ও আনুগত্য প্রদর্শন-ই একজন ঈমানদার হিসেবে আমাদের মূল সম্বল। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের শপথের দাবি হচ্ছে আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় এবং তাঁর আনুগত্য করা। আল্লাহর পরিপূর্ণ গোলাম হিসেবে নিজেদেরকে পেশ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর একজন রুকন হিসেবে নিজের সমস্ত দুর্বলতা দূর করে আল্লাহর কাছে তাওবা করে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেন আমরা দ্বীনের পথেই নিজেদের বাকী জীবন কাটাতে পারি। সাংগঠনিক ভাবে আমাদের যার ওপর যে দায়িত্ব আছে, সকল দুনিয়াবি কাজের উপর আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে।
গতকাল ১৪ জুলাই’২৩ শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মতিঝিল পূর্ব থানার উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত ষান্মাসিক সদস্য (রুকন) সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ নূর উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ সিরাজুল হক। অনুষ্ঠানে দারসূল কোরআন পেশ করেন মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও ওয়ারী পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মতিঝিল পূর্ব থানার শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য জসিমুল হক পাটোয়ারী, আমিরুল মোমেনীন তালুকদার, মুসফিকুন সালেহীন শিবলী, দেলোয়ার হোসাইন, মো: হুমায়ুন কবির, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
ড. মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই কাফেলা আমাদেরকে পরিপূর্ণ মুমিন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পেরেশান, এ কাফেলা আমাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যেতে চায়, অথচ আমরা সংগঠনের হক যথাযথভাবে আদায় করতে পারছি না। এ পথের যত বাঁধা তা পদদলিত করে আমরা এগিয়ে যাব, রুকন সম্মেলন আমাদের মাঝে নতুন করে সেই চেতনা জাগ্রত রাখতে হবে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আন্দোলন হিসেবে আল্লাহর জমীনে তাঁরই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় জামায়াতের শপথের জনশক্তি রুকনদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিদের মজবুত ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ইলমী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আল্লাহর গোলাম হিসেবে জান্নাতের প্রত্যাশায় আমলী জিন্দেগি উন্নততর করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।
সৈয়দ সিরাজুল হক বলেন, মুমিনদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সকল কাজের উপরে দ্বীনের কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত দিকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার রঙ্গীন স্বপ্ন আমাদের জীবনকে সব সময় তাড়িয়ে বেড়ায়। কিন্তু মহান আল্লাহর খলিফা হিসেবে এই দুনিয়াবী জিন্দেগীতে আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক বেশি। এই দায়িত্ব পালন করার জন্য কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিজের জীবনকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাই উন্নত মৌলিক মানবীয় গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে জামায়াতের রুকনদের দুনিয়ার সামগ্রিক কর্মব্যস্ততার উপরে ইকামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। জামায়াতের সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে, ইউনিটে, পাড়া মহল্লায় সর্বত্র দ্বীনের প্রকৃত দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে মজবুত সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা।