বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতী সন্তান মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২১টি পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার উদ্যোগে আয়োজিত এই ছাগল বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি ইয়াসমিন বেগম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আমানুল্লাহ, সদর উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কবির, চাপাই নবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোহরুল ইসলাম সোহেল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি তানভির আহম্মেদ, জামায়াত নেতা আব্দুর রহমান, আজিজুল হক নূর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার উদ্যোগে পরিবার গুলোকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে অভাবগ্রস্ত মা-বোন, বয়বৃদ্ধ ও শারীরিক ত্রুটি সম্পন্ন ব্যাক্তিদের পরিবারে গৃহপালিত পশু হিসেবে ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে ও নিজ পরিবারে সমৃদ্ধি উন্নয়নে সুখ শান্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই ২১টি পরিবারে এই গৃহপালিত প্রাণী তুলে দিচ্ছি। আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি পরিবারকে স্বাবলম্বী কর গড়ে তুলতে চাই। পরিবারের কর্তা অভিভাবক যারা আছেন তাদের একক আয়ে বর্তমানে দেশের এই কঠিন সময়ে সংসার পরিচালনা করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা চিন্তা করেছি মা-বোনেরা পর্দার ভিতরে থেকেই নিজ পরিবারের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে গবাদি পশু পালন করে স্বাবলম্বী হবেন। আজকে দেশে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে জনগণের জীবন ধারণে নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের প্রান্তিক মানুষের চাল কিনলে ডাল কেনার সামর্থ্য নেই, তেল কিনলে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন না। মাছ, গোশত ও তরিতরকারি ক্রয়েরও ক্ষমতা মানুষ হারিয়ে ফেলছে। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় ফলে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়-দায়িত্ব নাই। এমতাবস্থায় মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে, জনগণের মুক্তি নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে একটি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে জনগণ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে এবং জনগণের সকল অভাব পুরনের জন্য রাষ্ট্র সবসময় তৎপর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না মহান আল্লাহ তার প্রতিও কোনো অনুগ্রহ করেন না। আজকে জামায়াতের পক্ষ থেকে ছোট্ট একটি ছাগল পালনের জন্য এসব পরিবারের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি। এটা বড় করে আপনারা নিজেরা স্বাবলম্বী হবেন। পরবর্তীতে ছাগল দ্বারা আয়ের অর্থ আপনারা নিজ পরিবারের কল্যাণকর কাজে বিনিয়োগ করে আরও সমৃদ্ধ হবেন সে দোয়া করছি। আমরা চাই এক একজন বোন পরিবারে থেকেই অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে সংসারকে সাঁজিয়ে তুলবেন। মা-বোনেরা আপনারা আত্মমর্যাদা নিয়ে পরিবার পরিচালনা করবেন ইনশাআল্লাহ। সংসারকে সুখ ও শান্তিতে পূর্ণ রাখতে আপনারা বলিষ্ঠ অবদান রাখবেন। পাশাপাশি প্রিয় মা ও বোনেরা দ্বীন কায়েমের কাজে তথা ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করতে আপনারা কখনোই পিঁছিয়ে থাকবেন না। মর্যাদার সাথে, সাহসের সাথে সমাজ পরিবর্তনে নারী সমাজকে সঠিক পথে থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল বোনেরা এখানে আছেন আপনারা তাদের সাথে একত্রিত হয়ে সহযোগী হয়ে সমাজের কল্যাণে নিবেদিতা নারী হিসেবে এগিয়ে আসুন।