চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতী সন্তান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গত ৪ই মে বজ্রপাতে নিহত তিনজনের পরিবারকে নগদ ৫০,০০০/- টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বক্কর সদর, সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক আমানুল্লাহ্, সদর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য সাবের আলী, শাজাহানপুর ইউনিয়ন আমির সাদিকুল ইসলাম, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন আমির আনোয়ার হোসেন মিলন, দেবীনগর ইউনিয়ন সেক্রেটারি মোহাম্মদ বাচ্চু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আপনাদের ভাই হিসেবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন মানুষ হিসেবে আমি আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি। মূলত বজ্রপাতে নিহত এই ভাইদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের কাছে সমবেদনা প্রকাশ এবং আপনাদের দুঃখ ও কষ্টের ভাগিদার হওয়ার জন্যই আমি ছুটে এসেছি। মানুষ মাত্রই মরণশীল, আল্লাহর ঘোষণা, প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মহান আল্লাহর অনুমোদন ছাড়া কারো মৃত্যু হয় না। মৃত্যুর সময়টা লিখিত আছে, আজকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত জাহাঙ্গির ভাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন, তিনি সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিতও ছিলেন। এরপূর্বেই আল্লাহর সিদ্ধান্তে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে বিপদ মুসিবত সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা হয়। আমাদের বজ্রপাতে আহত ও ইন্তেকাল করা সবকিছুই আল্লাহ আগে থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। আল্লাহ মানুষকে ভয়, ক্ষুধা, বিপদ, মুসিবত, জান-মাল, ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে প্রিয় বান্দাদের পরীক্ষা করে থাকেন। আর ধৈর্যশীল তিনি সফলতা দান করেন। ফলে সকল অবস্থায় বান্দার ধৈর্য ধারণ করা উচিৎ। তাই বজ্রপাতে নিহত এই পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধারণের কথা বলবো। আত্মীয়-স্বজন যারা ব্যথিত হয়েছেন, তাদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান করি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দোয়া করি এই পরিবার গুলো সকল পরীক্ষায় যেন উত্তীর্ণ হয়। রাসূল সা. ঊলেছেন কোনো দূর্ঘটনা বা আগুনে পুড়ে যদি কেউ ইন্তেকাল করেন তিনি শহীদের মর্যাদা পান। আমরা এই মানুষ গুলোর শহীদি মৃত্যু শাহাদাত কামনা করছি। আপনাদের যে কোন বিপদ-আপদে জামায়াত সব সময় আপনাদের পাশে আছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী এদেশে একটি মানবিক সংগঠন হিসেবে সর্বমহলে প্রতিষ্ঠিত ও প্রশংসিত। একটি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এদেশে জামায়াত কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের চার দফা কর্মসূচির অন্যতম একটি দফা হচ্ছে সমাজের সংস্কার ও কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে জনগণের সেবা করা। দেশের সকল নাগরিক যেন তার ন্যায্য অধিকার ভোগ করতে পারে আমরা সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সুখী সমৃদ্ধ জনপদ প্রতিষ্ঠিত হলেই প্রকৃত অর্থে সমৃদ্ধ দেশ ও রাষ্ট্র গড়ে ওঠবে। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই মানবতার পাশে, মানুষের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদেরকে সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণের সুযোগ করে দেন এবং আমাদের এই কল্যাণমুলক কাজগুলোকে কবুল করে নেন।