বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় বস্তি ও ছিন্নমূল স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ মঙ্গলবার বিকেলে বস্তি ও ছিন্নমূল স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এসকল ঈদ উপহার প্রদান করেন। উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসের শুরা সদস্য ও কদমতলী দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জি. হাবিবুর রহমান, পল্টন দক্ষিণ থানা আমীর শাহীন আহমদ খান, কদমতলী দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি আবু সাকিব, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ডা. আবুল হাশেম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা নগরীতে বসবাসরত বাস্তুহারা, বস্তি ও ছিন্নমূল পথশিশু উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বঞ্চিত এসব শিশুদের ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মাহে রমজানের শেষে মুসলিম উম্মাহ ঈদ উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে অসংখ্য মানুষের কাছে ইতোমধ্যেই ঈদের উপহার তুলে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা রাজধানীতে বসবাসকারী ছিন্নমূল ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই। ঈদের দিনে পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে যেন এসব শিশুর ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে না যায় সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। দেশের আপামর জনগণের সার্বিক কল্যাণে জামায়াত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করা আমাদের লক্ষ্য নয় আমাদের মূল লক্ষ্য মানবতার কল্যাণ। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে রাজধানীর এসব ছিন্নমূল শিশুদের কাছে ছুটে এসেছি।
ড. মাসুদ আরও বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দূর্ভাগ্য যে, একটি মুসলিম প্রধান দেশে বরেণ্য আলেম ওলমাগণ তাদের পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাংলাদেশের জনগণ লক্ষ্য করছে, বার বার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরোওয়ারকে জামিন পাওয়ার পরেও সরকার জেলগেটে আবারো গ্রেফতার করছে। একইভাবে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আনম শামসুল ইসলামকেও জামিন দিয়ে আবার আটকে দিচ্ছেন। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান প্রায় ৫ মাস যাবৎ, নায়েবে আমীর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাস্সিরে কুরআন ও সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর যাবৎ কারাগারে আটক রয়েছেন। এটিএম আজহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল সহ জামায়াতের অনেক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন। তিনি সরকারকে বলেন, আমরা সমাজের সকল শিশুর মুখে ঈদের হাসি ফুঁটিয়ে তুলছি। আপনারা দায়িত্বের চেয়ারে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ বন্দি সকল মজলুম মানুষদেরকে মুক্তি দিয়ে তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফুঁটিয়ে তোলেন। তিনি ঈদুল ফিতরের পূর্বেই গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিয়ে পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদুল ফিতর পালন করার সুযোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।