বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আজ ২৫শে রমজান সোমবার বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান কর্মচারীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এই ঈদ উপহার প্রদান করেন। ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসের শুরা সদস্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আহসান হাবিব, আশরাফুল আলম ইমন, শাহীন আহমদ খান, এড. শাহ মাহফুজুল হক, মজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনা বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড। প্রথম দিন থেকেই জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণীয় নয়। মাহে রমজানে বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, চকবাজার সহ ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী একটি নিপিড়িত মজলুম সংগঠন। দেশের মানুষ ও মানবতার যেকোনো বিপদ-মুসবিতে জামায়াত সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে ছুটে যায়। দেশের আপামর জনগণের সার্বিক কল্যাণে জামায়াত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করা আমাদের লক্ষ নয় আমাদের মূল লক্ষ্য মানবতার কল্যাণ। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, দেশে আজ একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তবুও উন্নয়নের ধ্বজাধারী এই ফ্যাসিস্ট সরকারের মিথ্যাচার থেমে নেই। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই, এমনকি মানুষের জান ও মালেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। সরকার তার সামগ্রিক ব্যর্থতায় দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জনগণের সকল অধিকার নিশ্চিত করতে আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা) প্রদর্শিত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হলো ইসলাম। দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ইসলামের সু-মহান আদর্শের ভিত্তিতে একটি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র ও আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সকলকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
মু. দেলওয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণীয় নয়। আমরা মনে করি, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক ও কর্মচারীদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা না নিলে কোনো ভাবেই এই সংকট নিরসন হবে না। আমরা আপনাদের এই দুঃসময়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে আপনাদের সাথে আছি, ভবিষ্যতেও যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ১০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারীদের প্রত্যেককে ঈদ সামগ্রী ফুড প্যাকেট প্রদান করা হয়।