বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাউফলের গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ ৮ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার ১৬ রমজান ঢাকাস্থ বাউফল বাসীর সম্মানে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বলেন, প্রিয় বাউফল বাসী সম্মানিত সচেতন মহল আপনাদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। উপস্থিত এই সচেতন জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে আমরা আমাদের প্রিয় বাউফলকে গড়ে তুলতে চাই। আমরা বাউফলে একটি কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখি। পবিত্র রমাদানের এই সময়ে কুরআন নাযিলের মাসে আমরা সকলে ব্যক্তি হিসেবে কুরআনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে আমাদের দ্বারা আগামী দিনে বাউফলের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চাই। সেই সাথে গোটা বাংলাদেশের মধ্যে বাউফল উপজেলা বিকশিত বাউফল হিসেবে দৃষ্টান্ত উপস্থাপনে আমরা ভূমিকা রেখে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে প্রথমে এখানে উপস্থিত আমাদেরকে ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছি। কুরআনের আলোকে পরিবর্তিত ব্যক্তি যথাযথ ভাবে সমাজ রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম না হলে প্রকৃত অর্থে ঐ ব্যক্তির পরিবর্তন ফলপ্রসূ হয় না। অর্থবহ ব্যক্তির পরিবর্তন তখনই পরিলক্ষিত হয় যখন তার পরিবর্তন সমাজ দেশ রাষ্ট্র পরিবর্তনে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ব্যক্তির পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবার সমাজ রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখা। বাউফলে সন্ত্রাস মাদক অশ্লীলতা বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আমাদের বাউফলবাসীকে সাথে নিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী দিনে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে যথাযথ ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে এই রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে সমাজে কাজে লাগাতে চাই। বাইফল উপজেলাকে সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে গড়তে চাই আমরা। সে কাজে আপনাদের সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাউফল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত পবিত্র মাহে রমাদান উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ বাউফল বাসীর সম্মানে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআইজি অব পুলিশ (অবঃ) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক এডভোকেট আবুল কাশেম, সালাহউদ্দিন শাহিন, এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, বিশিষ্ট আলোচক মুফতি জাকির হোসাইন, হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম রনি, আবু তাহের উজ্জ্বল, নূরুল আলম, রাসেল মাহমুদ প্রমুখ। এছাড়াও ইফতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, ঢাকাস্থ বাউফলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাউফলের জনগণের সাথে ছলচাতুরী করে একটি গোষ্ঠী স্থানীয় পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে মানুষের উপর নির্যাতন, খুন, জুলুম, অত্যাচার করছে। তাদেরকে মোকাবেলা করতে সচেতন সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য দল-মত রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে বাউফলবাসী সকলে একে অন্যের প্রতি সহযোগি হয়ে উঠুন। আমাদের শিক্ষানীতি নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আজ বাউফল সহ গোটা দেশ জাতি ধ্বংসের মুখে নিমজ্জিত হয়েছে। তাই আগামী দিনে সমাজকে নৈতিকতার মানদ-ে উন্নীত হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। সমাজে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে শিক্ষা ও নৈতিকতার সর্বস্তরে ইসলামী জ্ঞান চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ড. মাসুদ আরও বলেন, বাউফলবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবার সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সচেতন জনগণকে মাঠে ময়দানে থাকতে হবে। আজকের দিনেও সরকার আগামীতে আবারো তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার জন্য জামায়াত সহ দেশপ্রেমী শক্তির বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চালানোর অংশ হিসাবেই প্রতিশ্রুতিশীল ও পরিছন্ন রাজনীতিক, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিজেদের নগ্ন, অগণতান্ত্রিক ও বিভৎস চেহারা জাতির সামনে উম্মুক্ত করেছে। দেশে আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন কম হয়নি, দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে সেসব। এবার সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইনসাফপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে ত্যাগ-কোরবানির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। বাউফল উপজেলাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এবার আমরা মানুষের সত্যিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য রমাদানের এই সময়ে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। কুরআন-হাদিস নিয়মিত অধ্যয়ন করতে হবে এবং জীবন থেকে বিপরীত চরিত্র তথা মুনাফেকি পরিহার করতে হবে। মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। ঘরে বসে থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয় একথা বুঝে মানুষের কল্যাণে অবদান রাখতে এগিয়ে আসুন।