রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ১৮ জন লোক নিহত ও অসংখ্য মানুষ গুরুতর আহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যৌথ শোক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গতকাল ৭ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান এলাকার সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৮ জন লোক নিহত ও বহু লোক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক বিস্ফোরণের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করছি তিনি যেন তাদেরকে শহীদের মর্যাদা দান করেন। যারা মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আমরা মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এসব ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটনার কারণ উদঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, নিহতদের পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং এই ভয়াবহ ঘটনায় যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
শোক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। মুলত সরকারের অদূরদর্শিতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর গাফলতির কারণেই একেরপর এক দুর্ঘটনা সমূহ ঘটছে। গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার পুর্বেও রাজধানীতে সপ্তাহ খানেক সময়ের ব্যবধানে পরপর আরও দুটি বিস্ফোরণের রহস্যজনক ঘটনা ঘটে। এসব বিস্ফোরণের ধরনও প্রায় একই রকম হওয়ায় জনমনে সন্দেহ বাড়ছে। এসব ঘটনা পরিকল্পিত কিনা তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আমরা বিস্ফোরণের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।”
উল্লেখ্য যে, “গতকাল ৭ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান এলাকার সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের সাততলা ভবনটিতে বিকট শব্দে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি সাততলা ও পাঁচতলা দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৮ জন লোক নিহত ও বহু লোক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বিধ্বস্ত সাততলা ভবনের বেজমেন্টে এখনো ঢুকতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। সেখানে আরও মানুষ আটকে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। ফলে আটকে পড়া বিপন্ন মানুষগুলোকে জীবিত উদ্ধারের জন্য উদ্ধার তৎপরতা আরও জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা গুলোর প্রতি নেতৃবৃন্দ উদাত্ব আহবান জানান।