বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চাঁপইনবাবগঞ্জ শহর শাখার উদ্যোগে গত ২২শে জানুয়ারি, রোববার শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান জননেতা মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। শীতবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমীর আবুল হাসান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইসরাফিল হোসাইন, ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি আবু তালেব, সেক্রেটারি উমর ফারুক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মানবতাবাদী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সারাদেশের অসহায়, দুস্থ, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা সেবা ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করছে। আমরা অভিভাবক হিসেবে সবসময় তাদের পাশে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। চলমান তীব্র শীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের উত্তরবঙ্গের অবহেলিত অসহায় শীতার্ত মানুষ অনেক কষ্টের মাঝে দিন অতিবাহিত করছে। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারের সবার আগে তাদের পাশে দাঁড়ানোর উচিৎ ছিলো। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের কল্যাণে মনোযোগ না দিয়ে বরং দেশের বিরোধী মতের লোকজনের উপর জুলুম নির্যাতন এবং গ্রেফতার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীর গ্রেফতার ও নির্যাতন অঘোষিতভাবে এই অবৈধ আওয়ামী সরকারের রুটিনে পরিণত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমানের মত একজন মানবতাবাদী ব্যক্তিকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে দাবি আদায়ের ১০ দফা ঘোষণার পরপরেই গ্রেফতার করে নিয়ে রাখা হয়েছে। ড. শফিকুর রহমানকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক, বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এধরনের কাল্পনিক মিথ্যাচার তীব্র ঘৃণা সহ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তার নিন্দা জানিয়েছে। আমরা অবিলম্বে ডা. শফিকুর রহমান সহ গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননকে ধ্বংসের এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। সরকারের নতুন শিক্ষাক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তাদের চরিত্র ধ্বংসের জন্য অশ্লীলতা ও যৌনতা শিক্ষা প্রদান করছে। যা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনোভাবেই মেনে নিবে না। অতিসত্ত্বর শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলোকে সংশোধন করে মুসলমানদের ঈমান ও আক্বিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নতুন পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।