বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের রমনা থানার উদ্যোগে আজ ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে চলমান তীব্র শীতে বিপর্যস্ত ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও রমনা থানা আমীর ইবনে সাইয়্যেদ এর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবু মুসা, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, যুবনেতা সামদানী আলী, জাকির হোসেন, সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে শীতার্ত মানুষের কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে দেশের উত্তর বঙ্গে শীতের প্রকোপ আরও বেশি। অসহায় বঞ্চিত মানুষের পাশে সকলের হাত বাড়িয়ে দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব। এমতাবস্থায় অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা শীতার্ত মানুষের পাশে সামর্থ্যবানসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। শীতের তীব্রতায় কষ্টে থাকা জনগণের পাশে থেকে তাদের কষ্ট লাঘবের দায়িত্ব ছিল সরকারের অথচ দেশের ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের পাশে থাকার পরিবর্তে তাদের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় ফলে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এই সরকার রাতের ভোটে নিজেরাই ব্যালট কেটে কারচুপি করে ক্ষমতায় বসেছে এজন্য দেশের মানুষের ভোট তাদের প্রয়োজন হয় না। সরকার কয়েকদিন আগেই দেশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে আবার নতুন করে শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষনা দিয়েছে। একেরপর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সরকারীভাবে বৃদ্ধি করার ফলে জনগণের নাভিস্বাস উঠেছে এবং তা জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গিয়েছে। মূলত বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আর ভাবার কিছু নেই। আজকে দেশে জনগণের সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। আজকে মানুষের বাক স্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নিজেদের ন্যায্য অধিকারের জন্য সামান্য সমাবেশ করার অধিকারও হরন করা হয়েছে।
ড. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, আজকে অসহায়-বঞ্চিত মানুষের কাছে গিয়ে সেবা-সহযোগিতা করার সুযোগও দেশে নেই। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কোনো জনকল্যাণমূলক কাজও সরকার কাউকে করতে দিতে চাই না। এরপরেও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামায়াতে ইসলামী তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের মানুষের কল্যাণে এবং জনগণের প্রয়োজন পূরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা শীতার্ত মানুষের পাশে কম্বল নিয়ে ছুটে এসেছি। জামায়াতে ইসলামী দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এদেশের গণমানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য সকলকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে সমবেত হয়ে এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।