বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার ঢাকায় রিকশা ও ভ্যানগাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন আজ রাজধানীর মুগদা এলাকায় এই সব রিকশা ও ভ্যানগাড়ি বিতরণ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও মুগদা উত্তর থানা আমীর মতিউর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ থানা আমীর শাহীন আহমদ খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও মুগদা পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ ইসাহাক, মুগদা উত্তর থানা সেক্রেটারি মো. জাকির হোসাইন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবুল ফজল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. হেলাল বলেন, দেশে জনগণের কল্যাণে জামায়াত বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। জামায়াতে ইসলামী একটি আত্মনির্ভরশীল সমাজ গঠন করতে বদ্ধপরিকর। যেখানে অসহায় প্রতিটি মানুষ নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হয়ে দাঁড়াতে পারবে। এরফলে ব্যক্তির আয় বৃদ্ধি পাবে, পরিবার সাবলম্বী হবে, পাশাপাশি দেশ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য আমরা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অসহায় মানুষের আয় বৃদ্ধিতে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। তার মধ্যে একটি দফা হচ্ছে, ‘সমাজ সংস্কার ও সমাজ কল্যাণ’। যাতে সমাজের মানুষের কল্যাণ সাধন এবং জনগণের প্রয়োজন পূরণে প্রচেষ্টা চালানো হয়। তারই অংশ হিসেবে আমাদের দেশে যখন কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও বিপদ মুসিবত সংঘটিত হয়, সেখানেই পরিস্থিতি উত্তরণে খাদ্য, ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে ছুটে যায় জামায়াতে ইসলামী।
মুহা দেলাওয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামায়াত সাধ্যমত যাবতীয় সহযোগিতা নিয়ে দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এদেশের গণমানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জামায়াতে ইসলামীর উপর শত জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে এবং তা এখনো চলছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা ও সাঁজানো নাটক মঞ্চস্থ করে ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে একে একে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করা হয়েছে। জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মীদের নামে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর ফলে এসব মানুষ আজকে সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করতে পারছে না। এই কঠিন পরিস্থির মধ্যেও অব্যাহতভাবে মানুষের কল্যাণে, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে জামায়াতে ইসলামী। দেশের বিশ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে।
ড. হেলাল আরও বলেন, দেশের মানুষ এই ব্যর্থ সরকারের কবল থেকে মুক্তি চাই, জনগণ জুলুমবাজদের কবল থেকে মুক্তি চাই। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে পারলেই কেবল মানুষ তার অধিকার চাইতে পারবে। তখনই সাধারণ মানুষ মুক্তিপাবে। এমতাবস্থায় ইসলামপ্রিয় দেশপ্রেমিক জনগণকে নিরব বসে থাকলে চলবে না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। আওয়ামী পুলিশ মিছিলে মিটিংয়ে গুলি করে মানুষ মারছে। কিন্তু এদেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে কোনো দিন দমিয়ে রাখা যায়নি। তিনি এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।