বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি, বাউফলের গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বাউফলে কর্মহীনদের পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে অটোরিকশা বিতরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, এদেশের মানুষের ভোট ডাকাতি করে যারা ক্ষমতায় বসে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যগড়ে তুলে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে এবার তাদের পতন নিশ্চিত করা হবে। দেশে জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত করা এখন সময়ের দাবি। একটি ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী জামায়াতকে থামিয়ে দিতে চায়। আমরা বলতে চাই, জামায়াতকে থামিয়ে দেওয়া মানে বাংলাদেশকে থামিয়ে দেওয়া। বর্তমান বাংলাদেশে জামায়াতকে থামিয়ে দেওয়া মানে জনগণের স্বাধীন মত গণতন্ত্রকে থামিয়ে দেওয়া। এদেশের জনগণ থেকে আর জামায়াতকে আলাদা করা যাবে না। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াত জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ জামায়াতের হাত ধরে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে ইনশাআল্লাহ।
অটোরিকশা বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলার আমীর অধ্যাপক শাহ আলম, বাউফল উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, বাউফল উপজেলা সেক্রেটারি খালিদুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক সভাপতি মুন্তাসির মুজাহিদ, পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মাহাদী হাসান নাহিদ, ইসলামী ছাত্রশিবির বাউফল উত্তরের সভাপতি মো. লিমন হোসাইন, বাউফল পূর্ব সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাউফল পশ্চিম সভাপতি হাফেজ আরিফুর রহমান, কামরুল ইসলামসহ প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কতিপয় প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের অসৌজন্যমূলক বক্তব্য জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার উক্তি মূলত দেশে আইনের শাসন এবং প্রচলিত বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা। জনৈক পুলিশ অফিসারের প্রতিশোধমূলক বক্তব্যে জনগণ ধিক্কার জানিয়েছে এবং পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এহেন কার্যক্রমে পুলিশ বাহিনীর সাথে কেবল জনগণের দূরত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাই, জনগণের মুখোমুখি রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলায় নিয়োজিত কোনো বাহিনীকে প্রতিপক্ষ দাঁড় করাবেন না। আজ দেশে সবচেয়ে বড় সংকট যোগ্য নেতৃত্বের। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান দেশে খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই দেশের জনগণ জাগতে শুরু করেছে, এসব মানুষকে আর থামিয়ে রাখা যাবে না। নিজেদের মুক্তির জন্য মানুষ সকল অন্যায় অপকর্ম এবার রুখে দিবে। দেশের মানুষ বুঝে গেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কাদের কাছে নিরাপদ। জনগণ সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে, নিজেদের নেতৃত্ব নির্বাচনে জনগণ বদ্ধপরিকর।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে মানবদরদি হিসেবে পরিচিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। দেশের এই ক্রান্তিকালে জনগণের সেবা সহযোগিতা করার সুযোগ দিন। দেশের অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অতীতে ছিলো, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। দোয়া চাই, আগামী দিনে যেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপামর জনসাধারণের কল্যাণে সবসময় পাশে থাকতে পারি। আল্লাহ যেন এই জনগণের প্রত্যাশা কবুল করেন। বাউফল উপজেলার মানুষের কল্যাণে আমরা সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ নানাবিধ সেবা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। তিনি বাউফলের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।