বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি, বাউফলের গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ পরিবারের মাঝে ঢেউ টিন বিতরণ করেন। পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও বাউফল উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে টিন বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলার আমীর অধ্যাপক শাহ আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ইসহাক মিয়া, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মো. আলী আজগর, জেলা সেক্রেটারি মাহাদী হাসান নাহিদ, জেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কাজী আব্দুদ দাইয়ান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পটুয়াখালী জেলার সাবেক সভাপতি মো. আল আমিন, ইসলামী ছাত্রশিবির বাউফল উত্তরের সভাপতি মো. লিমন হোসাইন, বাউফল পূর্ব সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাউফল পশ্চিম সভাপতি হাফেজ আরিফুর রহমানসহ আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, দেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ মেরামতের পাশাপাশি রাজনৈতিক দূর্যোগে বিধ্বস্ত প্রিয় বাংলাদেশের মেরামত এখন সময়ের দাবি। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে আমরা এখানে ৪৫টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এসব ঢেউটিন তুলে দিচ্ছি। এছাড়াও আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ ক্ষতিগ্রস্তদেরকে নগদ অর্থ সহযোগিতা প্রদান করেছি আমরা। আজ দেশে সবচেয়ে বড় সংকট যোগ্য নেতৃত্বের। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান দেশে খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই দেশের জনগণ জাগতে শুরু করেছে, এসব মানুষকে আর থামিয়ে রাখা যাবে না। নিজেদের মুক্তির জন্য মানুষ সকল অন্যায় অপকর্ম এবার রুখে দিবে। দেশের মানুষ বুঝে গেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কাদের কাছে নিরাপদ। জনগণ সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে, নিজেদের নেতৃত্ব নির্বাচনে জনগণ বদ্ধপরিকর।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বালা-মুসিবত ও দুঃখ দুর্দশা দুরিকরণে অতীতে ছিলো, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা দেশের বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মানুষের প্রাথমিক সমস্যা সমাধানে খাদ্য, চিকিৎসা, পোশাক, নগদ অর্থ সহ নানা উপকরণ দিয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিপদাপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সহায়-সম্বল হারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এটি একটি মানবিক, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজ। এই জাতীয় সহযোগিতা আমাদের অনুগ্রহ নয় বরং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ন্যায্য অধিকার। আমরা সমাজের অসহায় মানুষের প্রাপ্য অধিকারটুকু পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। দোয়া চাই, আগামী দিনেও যেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপামর জনসাধারণের কল্যাণে সবসময় পাশে থাকতে পারি। আল্লাহ যেন এই ঘরগুলোকে শান্তির নীড় হিসেবে কবুল করেন। তিনি অসহায়দের পাশে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় দেশের দুর্যোগের মুহূর্তে অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গণমানুষের দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।