সিরাতুন্নবী (সা) উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সকল থানা সমূহে সিরাতের উপর সকাল ১০টায় ‘ক গ্রুপের’ এবং বিকাল ৩টায় ‘গ গ্রুপের’ এ বই পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কয়েক হাজার জনশক্তি অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতা চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন হল কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং পরীক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজখবর নেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন ও দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মাও. ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিক, জয়নাল আবেদীন, আব্দুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূল (সা)-এর জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ” ফলে একমাত্র রাসূল (সা)-এর আদর্শ ও কর্মপন্থা অনুসরণের মাধ্যমেই দুর্নীতি মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। তাঁর কর্মপন্থা অনুসরণের মধ্যেই মানবতার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা)। তিনি ঐশী বাণী পেয়ে জাহেলিয়াতের আঁধার কেটে সুন্দর একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের পূর্বে তিনি মানব গঠনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। যার ফলে আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী (রা) এর মতো মানুষেরা তৈরি হয়েছিলেন। রাসূল (সা) তাদের মতো একদল যোগ্য লোক তৈরি করে সোনার মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যারা বিশ্বজুড়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ্য হয়েছিলেন। আমরাও একইভাবে সেই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। এদেশের মানুষের মাঝে কুরআনের শিক্ষা ও রাসূলের সুন্নাহ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য যোগ্য ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরির কাজ আমরা করে যাচ্ছি। রাসূল (সা)-এর চেতনাকে আঁকড়ে ধরেই আমাদের দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা সম্ভব। আল্লাহর দ্বীন এই জমিনে বিজয়ী হলে দেশের প্রতিটি নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ। কাজেই রাসূল (সা) এর আদর্শের আলোকেই আমাদের জীবনকে গড়ে তুলতে হবে।
‘ক’ গ্রুপের জন্য নির্ধারিত বই ছিল ‘মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ্ (সা)’ ও ‘রাসূল (সা)-এর জীবন যাপন পদ্ধতি’ এবং ‘গ’ গ্রুপের জন্য নির্ধারিত বই ছিল ‘এ ডিভাইন ষ্টেট (মহানবী সা. এর জীবন ও শিক্ষা হতে) ও ‘রাসূল (সাঃ) এর জীবনযাপন পদ্ধতি’।
ক, খ ও গ ৩টি গ্রুপে বিভক্ত এই সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রতি গ্রুপে বিজয়ী ১ম স্থান অধিকারীকে ১০ হাজার টাকা, ২য় স্থান অধিকারীকে ৮ হাজার টাকা, ৩য় স্থান অধিকারীকে ৭ হাজার টাকা, ৪র্থ স্থান অধিকারীকে ৬ হাজার টাকা এবং ৫ম স্থান অধিকারীকে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। এছাড়াও আরও ৫ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হবে।