বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে যথেষ্ট অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে এটা সত্য। তবে এখনও মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত। আজও মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। সড়ক গুলোর ভঙ্গুর অবস্থা, নেই কোন তদারকি। সড়কপথে শৃংখলা না থাকায় অসংখ্য বনিআদমকে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। নাগরিকদের অধিকার রক্ষা এবং সড়কপথ ও গণপরিবহনে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আজ পটুয়াখালী জেলার বাউফলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর, আর্থিক সহায়তা ও সহমর্মিতা জানানোর সময় এ কথা বলেন। তার সাথে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী জেলা আমীর অধ্যাপক শাহ আলম, বাউফল উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
ডাঃ শফিকুর রহমান আরও বলেন, সীমাহীন জুলুম নিপীড়ন উপেক্ষা করে জামায়াতে ইসলামী সামর্থ্য অনুযায়ী আর্ত মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের যেকোন প্রান্তে সড়ক দূর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড সহ বিভিন্ন দূর্যোগে ধর্ম-বর্ণ-দল নির্বিশেষে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে সহযোগিতা নিয়ে আমরা আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের আরোগ্য কামনা করেন এবং তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
এসময় আমীরে জামায়াত নিহত রনজিৎ কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী, সন্তান ও ভাইকে নগদ অর্থ, কম্বল সহ শীতের পোষাক ও অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করেন। তারপরে বাউফলের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এর সম্মানিত পিতা মরহুম অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন খানের কবর জিয়ারত করেন।