বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ.ন.ম শামসুল ইসলামকে গ্রেফতারের ৪০ ঘন্টা পরে আদালতে উপস্থাপন ও অযৌক্তিক রিমান্ড প্রদানের ঘটনায় এবং জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, রিমান্ড ও তাদের নিয়ে অভিযানের নামে পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রদত্ত বিবৃতিতে বলেন, রাজধানী ঢাকা উত্তরার একটি বাসা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য (এম.পি) জননেতা আ.ন.ম শামসুল ইসলামকে কোন প্রকার পরোয়ানা ছাড়াই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার ৪০ ঘন্টা পরে আদালতে উপস্থাপন ও রিমান্ড প্রদান সরাসরি সংবিধান ও নাগরিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এছাড়াও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অযৌক্তিক রিমান্ড, নির্যাতন ও অভিযানের নামে পরিবারের সদস্যদের হয়রানির ঘটনা রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সমূহের পেশাদারিত্বের অভাব ও দলীয় মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। অপরদিকে সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ ও রাজনৈতিক সংগঠনের রাজনৈতিক সভা সমুহ ও কর্মকান্ড পরিচালনা করা সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করেছে। যা সম্পুর্ন আইন বহির্ভূত ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। তিনি সরকারকে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি এবং সংবিধান প্রদত্ত জামায়াতের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহবান জানান। অন্যথায় রাজপথের তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জামায়াতের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে।