বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ ন ম শামসুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন ও আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, শামছুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোবারক হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি আবুল খায়ের, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আবু নোমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন, ঢাকা কলেজ সভাপতি শফিউল আলম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আমিনুর রহমান, মতিউর রহমান, মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সাত্তার সুমন, শরিফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম ইমন সহ জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানা শাখার আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ প্রমূখ।
মিছিলোত্তর প্রতিবাদ সমাবেশে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ.ন.ম শামসুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে মধ্যরাতে নিজ বাসা থেকে রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও গত ২ দিন পুর্বে সেক্রেটারী জেনারেল সহ ৯ জন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকার জনরোষ থেকে বাঁচতে এবং জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই একের পর এক জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করছে। গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকার মুলত জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্টা করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র এদেশের মুক্তিকামী মানুষ কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেবেনা। আমরা সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জননেতা আ ন ম শামসুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে অবিলম্বে জামায়াতের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ সহ সারাদেশে আটককৃত সকল জামায়াত নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
ড. মাসুদ আরও বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার গনতন্ত্রের কবর রচনা করে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করেছে। তারা জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে বিরোধী দল ও মতের ব্যক্তিদের নির্মূলের পথ বেছে নিয়েছে। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। ইতিহাস পাতায় দেখা যায় যে, পুর্বে কোন স্বৈরশাসকের পরিণতি কখনো ভালো হয়নি। অন্যায় অবিচার করে তারা ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেনি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় সরকারকে বলতে চাই, এভাবে গ্রেপ্তার, রিমান্ড, জুলুম ও নির্যাতন করে জামায়াতে ইসলামীর মত একটি আদর্শিক সংগঠনকে নির্মূল করা যাবে না। তিনি এ চরম সত্যটি উপলব্ধি করে সরকারকে এধরণের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মুলক জঘন্য আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে বাধ্য ও সকল অন্যায়ের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।