জামায়াতের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে মিছিলটি সোমবার রাত ৯টায় রাজধানীর খিলগাঁও রেইলগেট এলাকা হতে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদসহ ১০ জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে অন্যায় ভাবে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে সকল অন্যায়ের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলাওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামছুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি আবুল খায়েরসহ জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানা শাখার আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বলা হয়, সোমবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরার একটি বাসা থেকে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। জামায়াতে ইসলামী দেশে একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশে বিদ্যমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে সার্বিক সেবা সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জামায়াতের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠক থেকে সরকার কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জামায়াতের ৭ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিয়ে এ আন্দোলনকে থামানো যায়নি, যাবেনা ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই দেশে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার আছে। এটা দেশের জনগণের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। অতীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। এখনো যাবে না ইনশাআল্লাহ। আমরা সুন্দর ভাষায় গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।