নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সহ সারাদেশে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ধর্ষণ, গুম, খুন ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে আজ ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে মিছিলটি মতিঝিলের শাপলাচত্বর থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন ও আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামছুর রহমান, কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি মুজিবুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি রাসেল মাহমুদ, ঢাকা কলেজের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সহ জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানার আমীর ও সেক্রেটারীবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ধর্ষণ, গুম, খুন ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্মের ফলে করোনা মহামারীর চেয়েও ছাত্রলীগ আজ বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ যখন স্বাধীনতার জন্য কাজ করছিল তখন এই চেপে বসা সরকারের লোকজন গুম খুন ও ধর্ষণের মহোৎসবে মেতে ওঠে জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে এই আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত ছিল। ইতিহাসের সেই ধারাবাহিকতায় ধর্ষনে সেঞ্চুরী করে উদযাপন করা ছাত্রলীগ এখন সারাদেশে ধর্ষণের মহারাজ্য তৈরি করেছে। সিলেটের এমসি কলেজের ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে তাদের অপকর্ম সারাদেশের জনগনকে হতবাক করেছে। অব্যাহত ধর্ষণ ও জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রন অথবা নিষিদ্ধ করতে না পারার দায়ে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিৎ।
বর্তমান সরকার মা-বোনদের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন ও ধর্ষনের সাথে জড়িত তাদের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে বারবার ব্যর্থতার পরিচায় দিচ্ছে। কারণ এসব ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অবিলম্বে আমরা নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনা সহ সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণের সাথে জড়িত ধর্ষক ও সন্ত্রাসীদের বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে তিনি রাজপথে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ধর্ষণ, গুম, খুন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, জাতিকে এহেন দুর্বিষহ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্টার কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব সময় ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে সমৃদ্ধশালী করার জন্য কাজ করছে। আমরা এদেশের মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা, জান-মাল ও ইজ্জতের নিশ্চয়তা বিধান করতে চাই। দেশের এই ক্লান্তিকালে তিনি সকলকে ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে কাজ করার উদ্বাত্ব আহবান জানান।
(মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সাইফ)
প্রচার বিভাগ,
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ।