বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ ১০সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকা পরিদর্শন করে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যাক্তিদের পরিবার সমূহের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তাদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। তিনি শোকার্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর প্রতি সমবেদনা জানান এবং সকল বিপদ-মুসিবতে আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্য্য ধারনের আহবান জানান। তিনি নিহত মুসল্লিদের রুহের মাগফিরাত ও শাহাদাত কবুলিয়াতের জন্য এবং চিকিৎসাধীন মুসল্লিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করেন। তিনি হতাহতদের পরিবারের সসদস্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পরিবার গুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সরকারের নিকট জোরালো দাবী জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা মাঈন উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত মতে গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকেই মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ও সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে ৩০ জন মুসল্লির প্রাণহানি ঘটে ও অসংখ্য মানুষ এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিস্ফোরণে মানুষ হতাহতের এই মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সরকারের ব্যর্থতা ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই তাদের পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন। ফলে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে যারা এখনো দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন তারাও কর্মক্ষমতা হারিয়ে পরিবার ও সন্তান নিয়ে চরম কষ্ট ও অসহায় অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। এমতাবস্থায় মসজিদে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তিনি এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত ও এ জাতীয় দুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাহ জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ধ্বংসযজ্ঞে এক ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি অবিলম্বে মসজিদটির সংস্কারের মাধ্যমে নামাজ আদায়ের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি ও দ্রুত মুসল্লিদের নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, ইসলামের সু-মহান আদর্শের ভিত্তিতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম হলেই কেবল মানুষের সার্বিক সুখ ও শান্তি নিশ্চিত হতে পারে। এই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে অন্যায়, খাম-খেয়ালীপনা ও দুর্বৃত্ত্বায়ন নির্মূল করা সম্ভব হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক ও মানুষ তখন এর সুফল পাবেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই সমাজ ব্যাবস্থা কায়েম করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সকলকে সেই আদর্শিক ও কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত্ব আহবান জানান।
(মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সাইফ)
প্রচার সহকারি,
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ।