ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এক যৌথ শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুম অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের দেশ ও জাতি গঠনে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করে এ শোক প্রকাশ করেন।
শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোআ করেন, আল্লাহ যেন তার নেক আমল সমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করেন এবং তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।
মরহুম অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন)। এর আগে তিনি রাত আড়াইটার দিকে এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় স্ট্রোক করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার আরোও অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি পরিবার পরিজন সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৩২ সালের ১৫শে ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে বেড়ে ওঠেন। শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজে পড়ালেখা করেছেন। সরকারি কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু ড. এমাজউদ্দিনের। সত্তরের দশকে বৃত্তি নিয়ে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি অব অন্টারিও থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। পরে বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। উপাচার্য হওয়ার আগে দুই মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি অবসরে যান। পরে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভে (ইউডা) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসন-ব্যবস্থা, বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক
বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করেন। তার লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।