গ্রেপ্তারের পর ৩দিন অহিবাহিত হয়ে গেলেও ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি শাফিউল আলমসহ ৫জন শিবির নেতাকর্মীকে এখনো আদালতে হাজির না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অনতিবিলম্বে তাদের আদালতে হাজির ও মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এক যৌথ বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রনেতা শাফিউল আলম সহ ৫জন শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর ৭২ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো আদালতে হাজির না করার ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। যা বাংলাদেশের সংবিধান ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লংঘন। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই অন্যায়-অনভিপ্রেত আচরণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট পরিপন্থী। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির না করে অনেক ছাত্রকে গুম, হত্যা ও সাঁজানো নাটক উপস্থাপনের বহু উদাহরণ রয়েছে। পুলিশের ধারাবাহিক অমানবিক আচরণে পরিবারের সাথে সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কোন অভিযোগ ছাড়াই নিরাপরাধ ছাত্রদেরকে গ্রেপ্তারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রনেতা শাফিউল আলম সহ ৫জন শিবির নেতাকর্মীর অবস্থান নিশ্চিত করে তাদেরকে আদালতে হাজির এবং নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, আমরা মনে করি সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে দলন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার সভাপতি শাফিউল আলম সহ ৫জন শিবির নেতা-কর্মীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারি শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি আর আওয়ামী লীগেরও হবে না।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ই সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় শফিউল আলম তার ছোট ভাই ও ছোট ভাইয়ের বন্ধুকে নিয়ে হজ্জ ফেরত মা ও বড় ভাইকে রিসিভ করতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যান। মা ও বড় ভাইকে নিয়ে বাসার উদ্যোশ্যে গাড়ীতে উঠলে সাদা পোষাকধারী পুলিশ সদস্যরা মা ও ভাইয়ের সামনে থেকেই শাফিউল আলমকে তার ছোট ভাই ও ছোট ভাইয়ের বন্ধু সহ গ্রেপ্তার করে। এরপরে গ্রেফতারকৃত শাফিউল আলমকে সাথে নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে মো. শফিউল্লাহ ও মো. মা’আজ নামে আরোও দুই শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি এবং আদালতেও হাজির করা হয়নি।