পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী আহমাদ উল্লাহকে গ্রেফতার করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং পটুয়াখালীর গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ড. মাসুদ বলেন, “পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ফাহিস্যা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ আহমাদ উল্লাহকে আজ সকালে ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী ষ্টিকার বিলি করার অপরাধে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে বাউফল থানা পুলিশ।
সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ও একজন সমাজ সচেতন শিক্ষক হিসেবে তিনি সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেন এবং এর কুফল বা অপকারিতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করেন। অথচ এই জনকল্যাণ মুলক কাজের অপরাধে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুলত আওয়ামীলীগ নেতা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহীম ফারুকের সহায়তায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তার উপর চরম জুলুম করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের অন্যায় ক্ষমতার দাপট, জুলুম ও নির্যাতন থেকে জাতীর বিবেক বলে খ্যাত শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। অপরদিকে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই অন্যায়-অনভিপ্রেত আচরণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট পরিপন্থী। অবিলম্বে নাজিরপুরের জনপ্রিয় শিক্ষক আহমাদ উল্লাহকে নি:শর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”