বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “আত্মত্যাগের শিক্ষাই হলো কুরবানীর প্রকৃত শিক্ষা। পশু কুরবানী বড় কথা নয়, বরং একজন ভাল মানুষ হওয়ার জন্য নিজের পশুত্বকে কুরবানী দেওয়া এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে ইসলামের পথে অবিচল থেকে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ঈদুল আযহা আমাদের প্রশিক্ষণ দেয়।”
তিনি জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কলাবাগান থানার উদ্যোগে স্থানীয় অসহায়-গরীব-দুঃখী-দুঃস্থ বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশাপাশি মহিলা, ছাত্র-ছাত্রী এবং কুরবাণী দানে অক্ষমদের মাঝে কুরবাণীর গোশত বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। কলাবাগান থানা আমীর আবু জয়নবের সভাপতিত্বে উক্ত কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, ইলিয়াস সায়েম, শেখ আজাদ, জোবায়ের হোসেন, টিপু সুলতান প্রমুখ।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া আরোও বলেন, জামায়াতে ইসলামী শ্রেণী-গোত্র-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণের পাশাপাশি একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনের প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াত কুরবানী দানে অক্ষম এবং অসহায় মানুষের পাশে উপস্থিত থাকলো। জামায়াতের অন্যতম স্থায়ী কর্মসূচী হলো সমাজ সংস্কার ও মানবতার সেবা। এ কর্মসূচির আওতায় এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে জামায়াতের এ গোশত বিতরণ কর্মসূচী। চরম প্রতিকূল পরিবেশ এবং সরকারের শত জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে আর্ত মানবতার সেবার জন্য এবং সবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জামায়াত সর্বদাই সব শ্রেণীর মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। আজ এ ধরণের মানুষের জন্য বিত্তবান এবং সরকারের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ছিল । কিন্তু সরকার এ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ।”