বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের শ্বশুর এবং সিলেটের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, সমাজসেবক ও অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আজিজুুর রহমান চৌধুরী আজ শুক্রবার সকাল ৯-৩০ মিনিটে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
এক যৌথ শোকবার্তায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিভিন্ন অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, মাওলানা আজিজুর রহমান চৌধুরীর ইন্তেকালে আমরা একজন প্রথিতযশা আলেমে দ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজ সেবককে হারালাম। তিনি প্রভূত সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখেছেন। যা ইসলামপ্রিয় মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তার মৃত্যুতে যে শুণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই পুরণীয় নয়।
শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোআ করেন, আল্লাহ যেন মরহুমের নেক আমল সমূহ কবুল করে তাঁকে জান্নাতবাসী করেন এবং তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে সবর করার তৌফিক দান করেন।
মরহুম মাওলানা আজিজুুর রহমান চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত সমস্যা সহ নানাবিধ শারিরীক জটিলতায় ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ২ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার বাদ আসর মরহুমের ১ম নামাজে জানাজা সিলেটের সুবিদ বাজারের নূরানী নতুন মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে তার মরদেহ নিজ গ্রাম সুনামগঞ্জ জেলার দুয়ারা বাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে নেয়া হয়। সেখানে আগামীকাল বাদ জোহর মরহুমের প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা প্রাঙ্গণে ২য় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে।