বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও মানবিকতা বিকিয়ে দিয়েছে এবং দেশে একদলীয় স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে।
আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ডেমরা থানা শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানী ডেমরার স্থানীয় এক মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও ডেমরা থানা আমীর মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আলী হোসাইন, দেলোয়ার হোসাইন, আবদুল কুদ্দুস, ইলিয়াছ আলী, রেদোয়ানুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মোস্তফা কামাল প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কোনো সমাজব্যবস্থায় যদি দীর্ঘদিন ধরে দারিদ্রতা, অশিক্ষা, বেকারত্ব ও নৈতিক অধপতন অব্যাহত থাকে তবে তা ধীরে ধীরে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতি ও সমাজে হতদরিদ্র, অ-শিক্ষিত, লোভী ও দুর্নীতিগ্রস্থ অসভ্য মানুষে ভরে যায়। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল। এরজন্য বাংলাদেশে “কল্যণমূখী গণতন্ত্র” তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারিয়েছে। আর আওয়ামী অপশাসনে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিনত হয়েছে সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারে। ফলে তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানুষের মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, জান ও মালের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জনগনের জান-মাল রক্ষা ও মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য সমাজব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনের আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশে আজ মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা, সহযোগিতা, সহমর্মিতার পরিবর্তে এক ধরনের কুরুচি ও বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে। মুলত নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, বেকারত্ব, তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের প্রভাব তরুণ প্রজন্মের ভেতর তৈরী করছে এক ধরনের অস্থিরতা যা থেকে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। জাতির ভবিষ্যত এই তরুন প্রজন্মকে দেশ গড়ার উপযুক্ত করার জন্য হেরার আলোয় উদ্ভাসিত করে গড়ে তোলার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করার আহবান জানান। এজন্য তিনি যুব ও তরুণ সমাজকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন।
ড.মাসুদ আরোও বলেন, আজকের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান তখনই স্বার্থক হবে যখন মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার আলোকে তাক্বওয়া অর্জন করে সাম্য, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সততা ও ন্যায়-ইনসাফ ভিত্তিক জীবন ও সমাজ গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই আলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে। তিনি সকলকে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা জানান এবং শোষনমুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার আহবান জানান।