বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী অভিযানের ১১তম দিনে রাজধানীর রমনায় জামায়াতে ইসলামীতে স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সোমবার বিকেলে দাওয়াতী অভিযানকালে উন্মুক্ত বুথে সহযোগী সদস্য ফরম পূরণে নারী-পুরুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দীর্ঘ লাইন পরিলক্ষিত হয়। এ সময় রমনা থানা জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ফরম পূরণে আগ্রহীদের সহযোগিতা করেন।


উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক এবং রমনা থানার সাবেক আমীর আবদুস সাত্তার সুমন। তিনি বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী অভিযানে থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ জনসাধারণের কাছে যথাযথভাবে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছেন বলেই মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে আগ্রহী হচ্ছে। মানুষ এখন বুঝতে পারছে এবং বিশ্বাস করছে, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে একটি কল্যাণময় ও মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব।


তিনি আরও বলেন, আল্লাহ নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের মতো দ্বীন কায়েম করাও ফরজ করেছেন। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের ফরজ দায়িত্ব। যারা এই দায়িত্ব পালন করবে, তারাই পরিপূর্ণ ঈমানদার এবং ইহকাল ও পরকালে সফলতা অর্জন করবে। জামায়াতে ইসলামী এ দেশের প্রতিটি মানুষকে সেই সাফল্যের অংশীদার করতে ইসলামের ছায়াতলে আহ্বান জানাচ্ছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিসে শূরার সদস্য ও রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমান, থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আহমেদ আলী সরকার, মৌচাক ওয়ার্ড সভাপতি নূরুর রহমান পারভেজ, ১৯ নম্বর মধ্য ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল করিম মুরাদ, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন, ইস্কাটন ওয়ার্ড সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমানসহ থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।