বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আহ্বানে দেশব্যাপী পূর্ব ঘোষিত ১৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১৭ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৫ম দফায় ৪৮ ঘণ্টার সড়কপথ, নৌপথ ও রেলপথে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অবরোধের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এসময়ে পুরো রাজধানী জুড়ে যান চলাচল ছিল সীমিত। ৫ম দফায় ডাকা এই অবরোধ সফল করায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের নীল-নকশার তফসিল ঘোষণা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে এই তফসিল ঘোষণা প্রত্যাহার করুন। দেশবাসীর মতামত উপেক্ষা করে জনধিকৃত ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। সমগ্র জাতি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল তথাকথিত নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফরমায়েসি তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, বিরোধীদলের মতামত অগ্রাহ্য করে ঘোষিত তথাকথিত তফসিল দেশকে অস্থিতিশীল ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় ষড়যন্ত্রকারী সরকার এবং তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধীদলের বহু শীর্ষ নেতাকে জেলে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মী এখনো বন্দি। মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে। সরকারি দল সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও বিরোধী দলকে কোনো গণতান্ত্রিক স্পেস দেয়া হচ্ছে না। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার গোয়ার্তুমি করছে এবং ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের দিকেই হাঁটছে। বিদগ্ধ মহল কমিশনের তফসিল ঘোষণাকে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন মূলত বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাহিরে রেখে অতীতের মত শাসকদলকে জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে। গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনতা সরকারের বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলের দিবা স্বপ্ন পূরণ হতে দিবে না। জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কমিশনকে অবশ্যই এ তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে।