আগামী ১০ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহবান জানিয়ে নিম্নোক্ত যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সহ ১৩০ জন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
যৌথ বিবৃতিতে পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবীতে আগামী ১০ জুন শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে গত ৫ জুন অনলাইনে এবং ৬ জুন প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে আবেদনও করা হয়েছে। নাগরিকদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ মিছিল-সভা সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। ফলে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমরা সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিগত ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে ৪ বার সভা সমাবেশে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিনিধি দল প্রেরণ করার মাধ্যমে আবেদন করেছিল। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি প্রতিবারই তাদের সংবিধান স্বীকৃত সভা সমাবেশের অধিকারকে খর্ব করে আবেদন গুলো নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সংবিধান প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা আরও দেখেছি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আইনজীবীগণের একটি প্রতিনিধি দল সমাবেশের আবেদন নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের নিকট গেলে ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় পরবর্তীতে ৩ ঘন্টা পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এহেন সংবিধান বিরোধী আচরণে সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করছি ১০ জুনের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের বাসাবাড়ি ও কর্মস্থল থেকে গ্রেপ্তার করছে। ক্ষেত্র বিশেষে অসংখ্য নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যবৃন্দকে বিনা অপরাধে হয়রানী করা হচ্ছে। যা আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ওপর জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। আমরা রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পরিবর্তে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানাচ্ছি।