বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সোমবার রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব ও ওলামা মাশায়েখদের আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে “ঈদ উপহার” প্রদান করেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরার সদস্য ও পল্টন থানা উত্তরের আমির মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং পল্টন থানা উত্তরের সেক্রেটারি মো. সুলতান উদ্দিনের সঞ্চালনায় ‘ঈদ উপহার প্রদান’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরার সদস্য ও পল্টন থানা দক্ষিণের আমির শাহীন আহমেদ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নুরুল আবছার, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জামায়াত নেতা এস এম কামাল হোসাইন, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা নুরুল করিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উক্ত উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে ৮০ জন সুপরিচিত বরেণ্য আলেম ওলামা, মসজিদের ইমাম, খতিব ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন এবং প্রত্যেককে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা এই রাষ্ট্রে বসবাস করে আকিমুস সালাতের দায়িত্ব পালন করছি। কুতিবা আলাইকুমুস সিয়ামের দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি। যে মহান আল্লাহর নির্দেশে এসব পালন করছি আমরা ঐ মহান রাব্বুল আলামিনের আরও একটি নির্দেশ হচ্ছে আন আক্বিমুদ্বীন। তোমরা আমার জমিনে আমার দ্বীনকে বিজয়ী করো। উদখুলু-ফি সিলমি কাআফা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। হক্বানী সব আলেমগণ এ বিষয়ে একমত যে, কোনো রাষ্ট্রে পরিপূর্ণভাবে তখনই ইসলামে প্রবেশ করা যায় যখন সেখানে দ্বীন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকে। আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাদ ওলামায়ে কেরামগণ এখানে আছেন, সম্মানিত আলেমগণ আপনাদেরকে বিনয়ের সাথে বলছি, পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে হলে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি কি পরিপূর্ণভাবে ইসলাম পালন করতে পারে? আল্লাহ বলেছেন তোমাদের কি হল, তোমরা কেন আমার বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করছো না। আমরা যে মসজিদ গুলো পরিচলনা করছি ঐ মসজিদ গুলো কি সত্যিকার অর্থে মহান আল্লাহর বিধানের আলোকে এই সমাজকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছে। আমাদের মসজিদ গুলোতে কোথাও কোথাও লেখা থাকে দুনিয়াবি কথা বলা হারাম! সম্মানিত ঈমাম খতিবগণ আপনারা বলুন কোনটা দুনিয়ার কথা আর কোনটা আমার আপনার জন্য জরুরি ঈমান রক্ষার কথা। আল্লাহর রাসূল সা. যে মসজিদে বসে গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনা করেছিলেন সেটা কেন আজ উপেক্ষিত। একজন মুমিনের প্রত্যেকটি কাজই তো ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই রমজানে আমরা প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর সাথে দেওয়া ওয়াদা রক্ষার করার জন্য ট্রেনিং গ্রহণ করছি। যা অন্য বাকি বছরের এগার বাস যাবৎ আমাদের চলার পথে প্রেরণা যোগাবে। সেখানে যুদ্ধ হবে প্রথমে আমার নিজের নফসের সাথে। আমরা এক মাস সিয়াম সাধনা করে বিজয়ী হয়েছি বলেই মহান আল্লাহ আমাদেরকে ঈদ উদযাপনের সুযোগ করে দেন। যতক্ষন পর্যন্ত না এই জমিনে আল্লাহর বিধান বিজয়ী হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ঈদ উদযাপন নিরর্থক। ফলে আমরা আল্লাহর কাছে ওয়াদা করতে চাই, সিদ্ধান্ত নিতে চাই, রোজা রেখে সিয়াম পালন করে নিজে বিজয়ী হয়ে ঈদ উদযাপন করছি এবার বাকি এগার মাস আল্লাহ তোমার বিধানকে এই জমিনে বিজয়ী করে তোমার শ্রেষ্ঠ উপহার জান্নাত পেতে চাই।