ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, কেরানীগঞ্জের প্লাষ্টিক কারখানায় অগ্নিকান্ডে বহু মানুষ হতাহতের মর্মান্তিক দৃশ্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অগ্নিদগ্ধ মানুষের অসহনীয় কষ্ট আমাদের সবাইকে বিমর্ষ করে তুলেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতায় একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। মূলত জনগনের নিকট জবাবদিহীতা না থাকায় সরকারের কাছে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকছে। তিনি এই অগ্নিকান্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত এবং এ জাতীয় অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।
আজ শুক্রবার বিকালে জামায়াত নেতৃবৃন্দ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরীর কারখানায় সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দগ্ধ শ্রমিকদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান এবং সেখানে চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর নেন। তারা ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতা কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে বিশেষ দোয়া করেন। এসময় অগ্নিকান্ডে দগ্ধ শ্রমিকদের স্বজনরা আহাজারী ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে তিনি তাদের গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান এবং এই বিপদে মনোবল না হারিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর ভরসা রেখে, ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পরামর্শ দেন। সেইসাথে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আহতদের যথাসম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও অগ্নিকান্ডে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও যথাযথ পুনর্বাসনের লক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ব আহ্বান জানান।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।