ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, মহান বিজয় দিবসের এই দিনে জাতি গর্বিত ও আনন্দিত। কিন্তু সরকারের অপ-রাজনীতি ও ভ্রান্ত নীতির কারণেই সে আনন্দ আজ অনেকটাই ম্লান। বর্তমান সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার কথা বললেও তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে আমাদের সার্বভৌমত্ত আজ হুমকির সম্মুখিন। সীমান্তে নিয়মিত ফেলানীদের লাশ ঝুলছে, রোহিঙ্গা সংকট মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে পেয়াজ সহ নিত্য পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছে। অথচ সরকার এর কোন সমাধান করতে পারছে না। স্বাধীনতার মূল চেতনা হলো গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, ইসলামী মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার হলেও আজ এসব সম্পূর্নভাবে উপেক্ষিত এবং বিজয়ের আনন্দকে কলঙ্কিত ও মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত করছে।
ড. হেলাল আরোও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। সরকার মানুষের সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করে গণনির্যাতন চালিয়ে দেশকে নরকে পরিণত করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে বিকিয়ে দেয়ার জন্যই আওয়ামী সরকার জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটক রেখেছে। এ দেশের জনগণ জীবন দিয়ে হলেও সরকারের দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখবে। অবিলম্বে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে তারা সরকারের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশ-জাতির সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।