কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী অবৈধ আওয়ামী সরকার আগামী ৭ জানুয়ারী যে পাতানো ও ডামি নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তা ইতিহাসের পাতায় একটা কালো অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছে। যারা এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং যারা ভোট দিতে যাবেন তারা সবাই জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবেন। দেশের জনগণ এই অবৈধ ও পাতানো নির্বাচন ইতিমধ্যেই প্রত্যাখান করেছে। জনগণের মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে কোন আগ্রহ নেই। আপনারা দেখছেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কারো কারো ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসতেছে এবং বলতেছে ভোটের পরে এই কার্ড ফেরত পাবেন। আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা জনসমাবেশে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিচ্ছে যারা ভোট দিতে আসবেনা এবং যারা ভোটারদের বাধা দিবে তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা জনগণকে বলবো কোন ভয়ভীতির কাছে মাথা নত করবেন না। ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। পাড়ায় মহল্লায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। বিজয় জনগণের হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে একথা বলেন। প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৫ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খান, আহসান হাবিব, এডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক চৌধুরী, আবু আম্মার, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. হেলাল উদ্দিন আরো বলেন, ৭ই জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে কাকে কোন আসন থেকে বিজয়ী করা হবে সরকার সেই তালিকাও নির্বাচনের পুর্বেই চুড়ান্ত করে রেখেছে। তারা জনমতকে পদদলিত করে যা ইচ্ছা, তাই করতে চায়। জনগন সরকারের এই স্বপ্ন কখনই বাস্তবায়ন করতে দিবে না। জনগন তাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ। গণবিরোধী এই সরকারের নির্বাচনে কোন ধরনের সহযোগিতা করবেন না। তিনি ফ্যাসিষ্ট সরকারের সকল ধরনের রক্ত চক্ষু উপক্ষো করে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আরও বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকার বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। দেশব্যাপী আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাসা-বাড়িতে হানা দিয়ে নেতাকর্মীদের না পেলে পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন থেকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আমীরে জামায়াতসহ সকল নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামাদের মুক্তির জন্য চলমান আন্দোলনকে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করতে হবে। এজন্য তিনি সকলকে রাজপথে আরও কার্যকর ঐতিহাসিক ভুমিকা পালনের আহবান জানান।
বংশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বংশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর বংশাল চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাবুবাজার ব্রিজের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মুজিবুর রহমান, আব্দুল বারী,ছাত্রশিবিরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারী সাফওয়ান, ইমদাদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ
যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও আমীরে জামায়াত সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবীতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর শনির আখড়া থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সহকারী ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য এম এ রহিম, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সাদেক বিল্লাহ, আতিকুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ডেমরায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও আমীরে জামায়াত সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবীতে রাজধানীর ডেমরায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর ডেমরা মহাসড়ক থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান খান, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, এম বি হাসান, মাওলানা খাদেমুল ইসলাম, আবু জয়নব, আবু মিদহাত, আব্দুর রহিম, মোজাফফর হোসেন, আবুল বাশার, বায়জিদ হাসান, দেলোয়ার হোসাইন, আবু- সায়েম, জসিম উদ্দিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
খিলগাঁও এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও আমীরে জামায়াত সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবীতে রাজধানীর খিলগাঁও এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মু. শামছুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর খিলগাঁও থেকে শুরু হয়ে সবুজবাগের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য আব্দুল্লাহ আল আমিন, আবু নাবিল, আব্দুর রহমান সাজু, বনি ইয়ামিন, আবু মাহি, আসিফ আদনান, মোহাম্মদ ইসাহাক, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, এডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, এম আর জামান, সাজেদুর রহমান শিবলী, আবু মুয়াজ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।