সিলেটে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদেরকে মাঝে মধ্যে বিপদে দূর্যোগে ফেলেন আবার তিনিই আমাদেরকে ভালো রাখেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত আমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন। এই পরীক্ষার মধ্যে আমাদের প্রথম কাজ সবর করা। এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মা ও বোনেরা যারা এসেছেন সবাইকে আমরা ধৈর্য ধারণের কথা বলবো। সকলকে মনে রাখতে হবে আল্লাহ তায়ালা এই জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং সেই মহান আল্লাহর ইচ্ছাতেই আমাদের সবার ভালো মন্দ থাকার ফায়সালা হয়ে থাকে। তিনি মানুষের ভালোর জন্য আল কুরআন দিয়েছেন। তিনি এই জমিন পরিচালনার নীতিমালা দিয়েছেন। আমরা যদি তা অনুসরণ করে এই জমিনটা পরিচালনা করতাম, তাহলে সবার প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত হতো এবং তিনি আসমান ও জমিনের বরকত আমাদেরকে দান করতেন।
২১ জুন ২০২২ সিলেটের বন্যা দূর্গত ভাই-বোনদের কাছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার ফুড প্যাকেট উপহার নিয়ে যান এবং সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে তা বিতরণ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা উত্তরের আমীর হাফেজ মাওঃ আনোয়ার হোসেন খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, মোবারক হোসাইন, জামায়াত নেতা শাহীন খান, সিলেট জেলা উত্তরের সদর উপজেলা নায়েবে আমীর আব্দুল লতিফ লালা, উপজেলা সেক্রেটারি নাজির উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাহাত বিন সায়েফ চৌধুরী ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ মিছবাহ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. মাসুদ বলেন, নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে আজকে বাংলাদেশ গভীর সংকট ও আযাব-মুসিবতের মধ্যে পড়েছে। এই জমিন যখন আল্লাহর আইনের পরিবর্তে মানুষের মনগড়া আইনে পরিচালিত হয় তখন আল্লাহ আমাদেরকে বিপদে মুসিবতে ফেলেন। মানুষের তৈরি করা আইনে মানুষের মুক্তি হতে পারে না ফলে আল্লাহ চান আমরা যেন আল্লাহর আইনের দিকে ধাবিত হই। এই বিপদ ও বালা মুসিবত থেকে মুক্তি পেতে সরকারকে অনুরোধ করবো দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগণকে মুক্তি প্রদান করুন। আমরা ঐ মহান আরশে আজিমের মালিকের দরবারে মাথানত করে তওবা ইস্তেগফার করছি। আমাদের অকৃতজ্ঞতার কারণে, নাফরমানির কারণে, আমাদের অপরাধের কারণে আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দেন। আমাদের উপর থেকে এ-বালা মুসিবত সরিয়ে দিয়ে রহমতের আদর দিয়ে আচ্ছাদিত করে রাখেন। বন্যার্ত এই ভাই-বোনদের পরীক্ষা সহজ করে দেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সা. মানবতার দূত হিসেবে মানবতার কল্যাণে যে পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন, সেই পথ অনুসরণ করেই আমরা প্রিয় বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। তার জন্য মাইলফলক হিসেবে এই সিলেট মহানগরী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আমরা যতটুকু সুযোগ পেয়েছি সিলেটের বানভাসি মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে উপহার তুলে দিয়েছি। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এখানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি আগামীতে এখান থেকেই বাংলাদেশে দ্বীন ইসলাম বিজয়ের পতাকা উড্ডিন হবে ইনশাআল্লাহ।