বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, দেশের মানুষের কল্যাণে জামায়াতে ইসলামী সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের সবুজ জমিনে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়দীপ্ত কাফেলা জামায়াত তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আর্ত-মানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছে। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকায় জামায়াতের উপর অব্যাহত ভাবে জুলুম-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এত জুলুম নিপীড়ন সত্ত্বেও জামায়াত তার আদর্শ থেকে একচুলও বিচ্যুত হয়নি।
রাজধানীর একটি মিলনায়তনে পল্টন থানা জামায়াতের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও পল্টন থানা আমীর মোঃ আমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পল্টন থানা শূরা সদস্য মোঃ এনামুল হক শামীম, জামায়াত নেতা মোঃ নূর নবী রায়হান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, গত ০৯ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের একটি গুদাম ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরবর্তীতে তা আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পরে। এতে আগুনে পুড়ে বেশ কিছু দোকান ভস্মীভূত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকেরা চরম বেকায়দায় পড়ে।
নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ারে ভেঁসে যাচ্ছে দেশ অথচ একটু গভীরে গেলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে তা ফাঁকা বুলি মাত্র এতে দেশের মানুষের কোন কল্যাণ হয়নি। সরকার উন্নয়নের ধোঁয়া তুলে জনগণের অধিকার হরণ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতাসীনরা উন্নয়নের বিভিন্ন পরিসংখ্যান সাঁজিয়ে বাহবা নেওয়ার প্রচেষ্টা চালালেও এতে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। দেশের মানুষ সরকারের ব্যার্থতা গুলো তুলে ধরে নিজেদের নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হয়েছে। তাই কালক্ষেপন না করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে জনগনকে তাদের প্রকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ও আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মানবিক আদর্শকে অনুস্মরণ ও অনুকরন করে আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেনা। পরকালীন জবাবদিহিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের কারণেই জামায়াত সদাসর্বদা মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ বাংলার মানুষকে উপহার দেওয়া সম্ভব এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদেরকে দেশ গড়ার কারিগর ও অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।