ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে সুপ্রীম কোর্টের আইজীবীদের সাথে অশোভন আচরণ ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্ট শাখার উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১-০০টায় সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক সহকারী এটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহকারী সেক্রেটারী ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিঠুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বারবার নির্বাচিত সাবেক সেক্রেটারি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বাদল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট গোলাম রহমান ভুইয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট জালাল উদ্দীন ভুইয়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুন মাহবুব, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, এডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, এডভোকেট আজমত হোসাইন, এডভোকেট আব্দুল করিম, এডভোকেট টিপু সুলতান, এডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু, এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, এডভোকেট পারভেজ হোসেনসহ বিভিন্ন আইনজীবী নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ সভাটি সঞ্চালনা করেন এডভোকেট তারিকুল ইসলাম।
প্রতিবাদ সভায় আইনজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে সুপ্রীম কোর্টের আইজীবীদের সাথে অশোভন আচরণ ও পুলিশি হয়রানির ঘটনা ঘটেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। একইসাথে পুলিশ কমিশনারকে এই ঘটনার জন্য প্রেসনোটের মাধ্যমে দু:খ প্রকাশ করতে হবে। আইনজীবীরা রাষ্ট্র মেরামতের কারিগর, তারা আইনের কথা বলে, নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের কথা বলে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রচেষ্টা চালাই অথচ তাদেরকেই পুলিশ হয়রানি ও নির্যাতন করছে। ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করে বর্তমান আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছে। বর্তমান আওয়ামী সরকারের আমলে বাংলাদেশে কোন গনতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই এমতাবস্থায় আইনজীবীদের বসে থাকলে চলবেনা দেশের প্রয়োজনে তাদেরকে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।
আইনজীবী নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীবৃন্দ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একটি আবেদন নিয়ে গিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং তারা এদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তারা শান্তিপুর্ণ মিছিল করতে চাই, তারা তাদের নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবী জানাতে চাই, সারাদেশে জামায়াতের অফিস গুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে তা খুলে দিতে চাই, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তারা তাদের অধিকার ফেরত পেতে চাই। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। অতীতে গ্রেফতার করে, নিপীড়ন করে জনগণের ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। এখনো যাবে না ইনশাআল্লাহ। আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগ্রাম শুরু করছি দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা চলবেই ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী দু:শাসনের বিরুদ্ধে আজ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা মনে করি অচিরেই তাদের এই ফ্যাসিবাদের পরিসমাপ্তি ঘটবে।