বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী | ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ

(Beta)
  • EnglishEnglish
  • প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
    • পরিচিতি
      • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
      • গঠনতন্ত্র
      • সংগঠন পদ্ধতি
      • নীতিমালা
      • ইতিহাস-ঐতিহ্য
      • পরিচিতিমূলক নিবন্ধ
      • নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
    • সাংগঠনিক স্তর
      • মহানগরী সংগঠন
      • মহানগরী কাউন্সিল
      • মহানগরী আমীর
      • মহানগরী মজলিসে শূরা
      • মহানগরী কর্মপরিষদ
      • মহানগরী নির্বাহী পরিষদ
      • মহানগরীর অন্যান্য নেতৃত্ব
      • মহানগরী মহিলা বিভাগ
      • মহানগরীর থানা সংগঠন
    • ভিন্ন ধর্মাবলম্বী
    • আমাদের অর্জন
  • সংবাদ
    • সর্বশেষ সংবাদ
    • বিজ্ঞপ্তি
    • বিবৃতি
    • বাণী
    • চলিত বিষয়
    • আর্কাইভ
    • সোস্যাল নেটওয়ার্ক
  • কার্যক্রম
    • দাওয়াহ কার্যক্রম
    • সমাজ কল্যাণ
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
    • স্বাস্থ্যসেবা
    • শ্রমিক কল্যাণ
    • আইন ও মানবাধিকার
    • তথ্য ও গবেষণা
    • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    • কৃষি উন্নয়ন
    • যুব ও ক্রীড়া
    • আন্তর্জাতিক
  • তথ্যকোষ
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • প্রবন্ধ
    • শহীদ প্রোফাইল
    • মজলুমের আহাজারি
    • বিশেষ প্রতিবেদন
    • ডকুমেন্টারি
    • ছবি গ্যালারী
    • ভিডিও গ্যালারী
    • স্মরণীয় বরণীয়
    • প্রকাশনা
      • রুকন সিলেবাস
      • বই
      • স্মারক
      • বুকলেট/লিফলেট
      • পোস্টার
      • ফরম
  • নির্বাচন
    • মেয়র নির্বাচন
    • নির্বাচনী প্রকাশনা
    • অভ্যন্তরীণ নির্বাচন
    • স্থানীয় নির্বাচন
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
    • পরিচিতি
      • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
      • গঠনতন্ত্র
      • সংগঠন পদ্ধতি
      • নীতিমালা
      • ইতিহাস-ঐতিহ্য
      • পরিচিতিমূলক নিবন্ধ
      • নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
    • সাংগঠনিক স্তর
      • মহানগরী সংগঠন
      • মহানগরী কাউন্সিল
      • মহানগরী আমীর
      • মহানগরী মজলিসে শূরা
      • মহানগরী কর্মপরিষদ
      • মহানগরী নির্বাহী পরিষদ
      • মহানগরীর অন্যান্য নেতৃত্ব
      • মহানগরী মহিলা বিভাগ
      • মহানগরীর থানা সংগঠন
    • ভিন্ন ধর্মাবলম্বী
    • আমাদের অর্জন
  • সংবাদ
    • সর্বশেষ সংবাদ
    • বিজ্ঞপ্তি
    • বিবৃতি
    • বাণী
    • চলিত বিষয়
    • আর্কাইভ
    • সোস্যাল নেটওয়ার্ক
  • কার্যক্রম
    • দাওয়াহ কার্যক্রম
    • সমাজ কল্যাণ
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
    • স্বাস্থ্যসেবা
    • শ্রমিক কল্যাণ
    • আইন ও মানবাধিকার
    • তথ্য ও গবেষণা
    • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    • কৃষি উন্নয়ন
    • যুব ও ক্রীড়া
    • আন্তর্জাতিক
  • তথ্যকোষ
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • প্রবন্ধ
    • শহীদ প্রোফাইল
    • মজলুমের আহাজারি
    • বিশেষ প্রতিবেদন
    • ডকুমেন্টারি
    • ছবি গ্যালারী
    • ভিডিও গ্যালারী
    • স্মরণীয় বরণীয়
    • প্রকাশনা
      • রুকন সিলেবাস
      • বই
      • স্মারক
      • বুকলেট/লিফলেট
      • পোস্টার
      • ফরম
  • নির্বাচন
    • মেয়র নির্বাচন
    • নির্বাচনী প্রকাশনা
    • অভ্যন্তরীণ নির্বাচন
    • স্থানীয় নির্বাচন

Bangladesh Jamaat-e-Islami | Dhaka City South

Bangladesh Jamaat-e-Islami | Dhaka City South

হাশরের ময়দানের ভয়াবহ দৃশ্য ও খোদাদ্রোহীদের পরিণাম

মে 17, 2018
হাশরের ময়দানের ভয়াবহ দৃশ্য ও খোদাদ্রোহীদের পরিণাম
Share on FacebookShare on Twitter

بسم الله الرحمن الرحيم
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا لَا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا- ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآبًا – إِنَّا أَنْذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنْظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنْتُ تُرَابًا –

 অনুবাদ
৩৮. সেদিন (পরাক্রমশালী মালিকের সামনে) রূহ ও অন্যান্য ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে, করুণাময় আল্লাহ তায়ালা যাদের অনুমতি দেবেন তারা ছাড়া (সেদিন) অন্য কেউই কোনো কথা বলতে পারবে না এবং অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিও (যখন বলবে তখন) সঠিক কথাই বলবে।

৩৯. সে দিনটির আগমন সত্য ও অনিবার্য। (তাই) কেউ ইচ্ছা করলে নিজের মালিকের কাছে নিজের জন্য একটা আশ্রয় খুঁজে নিতে পারে।

৪০. আমি নিকটবর্তী আজাব সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করে দিলাম, সেদিন মানুষ দেখতে পাবে তার হাত দু’টি এ দিনের জন্য কী কী জিনিস পাঠিয়েছে, আর কাফির চিৎকার করে বলে উঠবে, হায়! আমি যদি (আজ) মাটি হয়ে যেতাম!

 নামকরণ
সূরাটির দ্বিতীয় আয়াত “عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ” বাক্যাংশের “النَّبَا” (আন-নাবা) শব্দ থেকে এ সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে। আসলে এটা কেবল নামই নহে, গোটা সূরার বিষয়বস্তুর শিরোনামও এটাই। কেননা ‘নাবা’ শব্দের অর্থ সত্য সংবাদ বা মহাসংবাদ অর্থাৎ কিয়ামত ও আখিরাত সংক্রান্ত সংবাদ প্রদান। আর এ সূরার সমস্ত আলোচনাই কিয়ামত ও আখিরাত সম্পর্কিত।

 নাজিলের সময়কাল
এ সূরার পুরো বিষয়বস্তু থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটি মক্কি যুগের প্রথম অবতীর্ণ হওয়া কয়েকটি সূরার মধ্যে একটি। এ সূরার আগের তিনটি সূরা অর্থাৎ সূরা কিয়ামাহ, সূরা দাহর ও সূরা আল-মুরসালাত এবং পরের একটি সূরা নাজিআত একই সময়ে অবতীর্ণ।

আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা: ৩৮ নম্বর আয়াত
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا لَا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উক্ত আয়াতে হাশরের ময়দানের একটি দৃশ্যের অবতারণা করেছেন। সেদিন আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তাঁর নিয়ামতের মধ্যে অবস্থান করবে আর বিদ্রোহী মহাপাপীরা তাদের পাশাপাশি উত্তপ্ত অবস্থার মধ্যে থাকবে। এ সময়ে জিবরাইল (আ) ও ফেরেশতারা মহাদয়াময় আল্লাহর দরবারে বিনীত অবস্থায় অপেক্ষমাণ থাকবে। মহান আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কারো সাথে কথা বলবে না। অপেক্ষা করার স্থানটি হবে অতি গুরুগম্ভীর ও ভীতি আনয়নকারী।
উক্ত আয়াতে উল্লিখিত ‘রূহ’ শব্দটি দ্বারা জিবরাইল (আ)-কে বুঝানো হয়েছে। অধিকাংশ তাফসিরকারকও কুরআনের অন্যান্য সূরায় বর্ণিত আয়াতের আলোকে এটি প্রতীয়মান হয়। আল্লাহর নিকট তাঁর উচ্চমর্যাদা হওয়ার কারণে এখানে সাধারণ ফেরেশতা থেকে স্বতন্ত্রভাবে তাঁর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপর একটি আয়াতে এসেছে।
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ
“ফেরেশতারা এবং রূহ তার দিকে উঠে যায় এমন একদিন যা পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান।” (সূরা আল-মাআরিজ : ৪)
এ আয়াতেও ‘রূহ’ দ্বারা জিবরাইল (আ) উদ্দেশ্য। অন্যসব ফেরেশতাদের থেকে আলাদাভাবে উল্লেখ তাঁর বিশেষ মর্যাদা প্রকাশ করে। জিবরাইল (আ) আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রিয় নবী করিম (সা)-এর নিকট অহি নিয়ে আসতেন।

সূরা আশ-শুআরাতে আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَإِنَّهُ لَتَنْزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ – نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ – عَلَى قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنْذِرِينَ
“এটা (আল-কুরআন) রাব্বুল আলামিনের নাজিল করা জিনিস। একে নাজিল করা হয়েছে আমানতদার রূহের মাধ্যমে তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।” (সূরা আশ-শুআরা : ১৯২-১৯৪)
এখানে যে ‘রূহ’ দ্বারা জিবরাইল (আ)কে বুঝানো হয়েছে তা আরো স্পষ্ট হয়ে যায় সূরা বাকারার একটি আয়াত দ্বারা।

আল্লাহ তাআলা বলেন:
قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ
“বলো যে ব্যক্তি শুধু এ কারণে জিবরাইল (আ)-এর দুশমন হয়ে গেছেন যে, সে তোমার অন্তরে কুরআন নাজিল করেছেন …।” (সূরা বাকারা : ৯৭)

সূরা আল-কদরেও ‘রূহ’ দ্বারা জিবরাইল (আ)কে বুঝানো হয়েছে।
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ
“ফেরেশতা ও ‘রূহ’ এই (কদরের রাত্রিতে) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সব হুকুম লয়ে অবতীর্ণ হয়।” (সূরা আল-কদর : ৪)
হাশরের ময়দানে সে মহাভয়ঙ্কর দিনে যেদিন জিবরাইল (আ) ও অন্যান্য ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষমাণ থাকবে। সেদিন মহান আল্লাহকে সম্বোধন করার ক্ষমতা কারো হবে না। মহাদয়াময় আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না এবং কোনো সুপারিশও করতে পারবে না।

যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
“সে সময় সুপারিশকারীদের কোনো সুপারিশ তাদের কাজে আসবে না।” (সূরা আল-মুদাস্সির : ৪৮)
সেদিনের সেই আড়ম্বরপূর্ণ মহিমান্বিত আদালতে অতি বড় কোনো গৌরবান্বিত ব্যক্তি এবং মর্যাদাসম্পন্ন ফেরেশতাও টুঁ শব্দটি করতে পারবে না। তবে মহান আল্লাহ তাআলা যাকে সেদিন কথা বলার ও শাফায়াত করার অনুমতি দেবেন, একমাত্র তিনিই সুপারিশ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে একাধিক আয়াতে বর্ণনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ
“কে এমন আছে, যে তাঁর দরবারে তাঁর অনুমতি ব্যতীত সুপারিশ করতে পারে।” (সূরা আল-বাকারা : ২৫৫)
مَا مِنْ شَفِيعٍ إِلَّا مِنْ بَعْدِ إِذْنِهِ
“কোনো সুপারিশকারী এমন নেই যে, তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করতে পারে।” (সূরা ইউনুস : ৩)
يَوْمَ يَأْتِ لَا تَكَلَّمُ نَفْسٌ إِلَّا بِإِذْنِهِ
“সেদিন যখন আসবে তখন কারো কথা বলার সামর্থ্য থাকবে না, তবে আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে কেউ কথা বলতে পারবে।” (সূরা হুদ : ১০৫)
لَا يَمْلِكُونَ الشَّفَاعَةَ إِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِنْدَ الرَّحْمَنِ عَهْدًا
“সে সময় যে রহমানের কাছ থেকে অনুমতি লাভ করেছে তার ছাড়া আর কারো সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।” (সূরা মারয়াম : ৮৭)
يَوْمَئِذٍ لَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا
“সেদিন সুপারিশ কার্যকর হবে না, তবে যদি করুণাময় কাউকে অনুমতি দেন এবং তার কথা শুনতে পছন্দ করেন।” (সূরা ত্বহা : ১০৯)
وَكَمْ مِنْ مَلَكٍ فِي السَّمَاوَاتِ لَا تُغْنِي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِنْ بَعْدِ أَنْ يَأْذَنَ اللَّهُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَرْضَى
“কত ফেরেশতা আকাশে আছে তাদের সুপারিশ কোনোই কাজে আসবে না, তবে একমাত্র যখন আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার পর সুপারিশ করা হবে এবং এমন ব্যক্তির পক্ষে করা হবে যার জন্য তিনি সুপারিশ শুনতে চান এবং পছন্দ করেন।” (সূরা আন-নজম : ২৬)
উক্ত আয়াতে তাদের সেই ধারণা ও বিশ্বাসকে খন্ডন করা হয়েছে যারা মনে করেন ফেরেশতারা ও নবী রাসূলগণ বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হওয়ার কারণে সুপারিশ ও পাপমোচন করার ক্ষমতা রাখেন।

৩৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা
ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآبًا
কেয়ামত সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে যারা নানা প্রশ্নের জালে আবদ্ধ তাদেরকে কঠিনভাবে নাড়া দিয়ে বলা হচ্ছে, এ দিনের আগমন অবশ্যম্ভাবী, সুতরাং প্রশ্ন তোলার বা মতভেদ করার কোনো অবকাশ নেই। যেমন- আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ – لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ
“যখন সেই মহাঘটনা (কিয়ামত) সংঘটিত হবে। তখন তার সংঘটিত হওয়াকে কেউই মিথ্যা বলতে পারবে না।” (সূরা আল-ওয়াকিয়া : ১-২)

কিয়ামত সম্পর্কে সন্দেহ পোষণকারী পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন:
بَلْ يُرِيدُ الإِنسَانُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُ – يَسْأَلُ أَيَّانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ – فَإِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ – وَخَسَفَ الْقَمَرُ – وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ – يَقُولُ الإِنسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ
“কিন্তু মানুষ ভবিষ্যতেও কুকর্ম করতে চায়। সে জিজ্ঞেস করে কবে আসবে কিয়ামতের সেদিন। অতঃপর চক্ষু যখন স্থির হয়ে যাবে, চাঁদ আলোহীন হয়ে পড়বে এবং চাঁদ ও সূর্যকে একত্র করে একাকার করে দেয়া হবে। সেদিন এ মানুষই বলবে পালাবার পথ কোথায়?” (সূরা আল-কিয়ামাহ : ৫-১০)
অতএব প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত সময় থাকতে নিজের ভুল সংশোধন করে নেয়া। প্রভুুর নিকট উপস্থিত হওয়ার আগে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। জাহান্নাম তার ফাঁদ ও স্থায়ী আবাস হওয়ার পূর্বেই এটা তার করা উচিত।

৪০ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা
إِنَّا أَنْذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنْظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنْتُ تُرَابًا
ঘুমন্ত ব্যক্তিকে তার গাফিলতির ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলার এ এক শক্ত সতর্কবাণী। “আমি অবশ্যই আসন্ন আজাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিলাম” জাহান্নাম মোটেই দূরে নয়। অতএব জাহান্নাম তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে এবং তোমাদেরকে দৃষ্টিতে রেখেছে, সেই দিকে সে নিয়ে যেতে চায় যা তোমরা দেখছো। দুনিয়ার জীবনটা পুরোপুরি একটি সংক্ষিপ্ত সফর ও স্বল্প সময়ের জন্যই তোমরা এই বয়স পেয়েছো। মানুষ যতদিন দুনিয়ার এই কাল ও স্থানের সীমার মধ্যে দৈহিকভাবে জীবনযাপন করবে কেবল ততদিন পর্যন্তই তাদের সময় ও কালের অনুভূতি থাকবে। মৃত্যুর পর যখন তার কেবল রূহুই অবশিষ্ট থাকবে তখন সময় ও কালের কোন চেতনা তার থাকবে না। হাজার হাজার বছর পর যখন তারা পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠবে তখন তাদের মনে হবে এইমাত্র ঘুম থেকে জাগ্রত হলাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, “যেদিন তিনি তোমাদের ডাকবেন, সেদিন তোমরা তার প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করতে করতে তাঁর ডাকের জবাবে বের হয়ে আসবে এবং তখন তোমাদের এ ধারণা হবে যে, তোমরা অল্প কিছুক্ষণ মাত্র এ অবস্থায় কাটিয়েছ।” (সূরা বনি ইসরাইল : ৫২) অপর আয়াতে বলা হয়েছে “আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা পৃথিবীতে কত বছর ছিলে? জবাব দেবে, একদিন বা একদিনের কিছু অংশ থেকেছি।” (সূরা আল-মুমিনুন : ১১২-১১৩)
অত্র আয়াতে আরো বলা হয়েছে, সেদিন মানুষ তার দুনিয়াবি সকল কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করবে এবং তাদের মিথ্যা বলার কোনো অবকাশ থাকবে না। কোন পাপকে অস্বীকার করার কোন উপায় খুঁজে পাবে না।

যেমন- আল্লাহ তাআলা সূরা জিলজালে বলেন:
فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ – وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
“অতএব যে ব্যক্তি এক অণু পরিমাণ কোন ভালো কাজ করবে (সেদিন) তাও সে দেখতে পাবে, (ঠিক তেমনি) কোনো মানুষ যদি অণু পরিমাণ খারাপ কাজও করে, তাও সে (তার চোখের সামনে) দেখতে পাবে।” (সূরা জিলজাল : ৭-৮)

এরপরে পাপিষ্ঠ, খোদাদ্রোহীরা যখন আল্লাহর আজাব তথা শাস্তির ভয়াবহতা লক্ষ করবে, তখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন:
فَادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا
“এখন যাও জাহান্নামের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করো, ওখানেই তোমাদের চিরকাল থাকতে হবে।” (সূরা আন-নহল : ২৯)
তখন পাপীরা আফসোস করে বলবে “আমি যদি দুনিয়ায় আদৌ জন্মগ্রহণ না করতাম, আমাকে যদি সৃষ্টি করা না হতো অথবা মৃত্যুর পর মাটির সাথে মিশে একাকার হয়ে যেতাম, পুনর্বার জীবিত না হতাম, তাহলে কতই না ভালো হতো, আমাকে আর হিসাবের মুখোমুখি হতে হতো না। কিন্তু সেদিন তাদের এ নিষ্ফল আকাক্সক্ষা আর কোন কাজে আসবে না।”

আমরা উক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম কিয়ামত তথা পৃথিবীর ধ্বংস অবধারিত বিষয়। সকল মানুষকে হাশরের ময়দানে উপস্থিত হতে হবে। সকলকে আল্লাহর বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। “সেদিন বাদশাহি একমাত্র আল্লাহ তাআলার।” সেদিন কোন পাপাচারী, সীমালঙ্ঘনকারী, খোদাদ্রোহী, ন্যায়বিচারহরণকারী আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা পাবেন না। দুনিয়ার বুকে যারা নিজেদেরকে পরাক্রমশালী মনে করে তাদেরকেও এই মহাসত্যের মুখোমুখি হতে হবে। অতএব মৃত্যুর পূর্বেই সকলকে সতর্ক হতে হবে এবং আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কেননা সেদিন দুনিয়ার সত্যের কালেমায় বিশ্বাসী লোকদের ব্যাপারে সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। তবে নিছক গোনাহগার, খোদাদ্রোহী ও সত্যদ্বীন অমান্যকারীদের ব্যাপারে কোনো সুপারিশ গৃহীত হবে না।

Choose Your Language

  • বাংলা
  • English

সাম্প্রতিক

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষেরা আমাদের আপনজন

মুসলমানদের ঈমান ও আক্বিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নতুন পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে

আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশে জামায়াত একটি সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করবে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনগণের কষ্ট লাঘবে আমরা সবসময় পাশে ছিলাম এবং থাকবো

দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, অর্থনীতিও শেষ, এখন জুলুমতন্ত্র চলছে

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে

আল কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে এবং দেশের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দিন

আমীরে জামায়াতের মুক্তির দাবীতে রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিক্ষোভ

ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মোবারক হোসেনের মাতার ইন্তেকালে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের শোক

রাজধানীর রমনা থানায় জামায়াতের শীতবস্ত্র বিতরণ

আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজধানীতে জামায়াতের রিকশা-ভ্যানগাড়ি বিতরণ

দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার বলতে কিছু নেই

জনবিচ্ছিন্ন সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে দমন-পিড়নের পথ বেছে নিয়েছে

  • কেন্দ্রীয় সংগঠন
  • লাইব্রেরী
  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
  • গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কসমূহ
  • সাইট ম্যাপ
  • যোগাযোগ

© ২০১৮ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ

  • প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
    • পরিচিতি
      • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
      • গঠনতন্ত্র
      • সংগঠন পদ্ধতি
      • নীতিমালা
      • ইতিহাস-ঐতিহ্য
      • পরিচিতিমূলক নিবন্ধ
      • নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি
    • সাংগঠনিক স্তর
      • মহানগরী সংগঠন
      • মহানগরী কাউন্সিল
      • মহানগরী আমীর
      • মহানগরী মজলিসে শূরা
      • মহানগরী কর্মপরিষদ
      • মহানগরী নির্বাহী পরিষদ
      • মহানগরীর অন্যান্য নেতৃত্ব
      • মহানগরী মহিলা বিভাগ
      • মহানগরীর থানা সংগঠন
    • ভিন্ন ধর্মাবলম্বী
    • আমাদের অর্জন
  • সংবাদ
    • সর্বশেষ সংবাদ
    • বিজ্ঞপ্তি
    • বিবৃতি
    • বাণী
    • চলিত বিষয়
    • আর্কাইভ
    • সোস্যাল নেটওয়ার্ক
  • কার্যক্রম
    • দাওয়াহ কার্যক্রম
    • সমাজ কল্যাণ
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
    • স্বাস্থ্যসেবা
    • শ্রমিক কল্যাণ
    • আইন ও মানবাধিকার
    • তথ্য ও গবেষণা
    • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    • কৃষি উন্নয়ন
    • যুব ও ক্রীড়া
    • আন্তর্জাতিক
  • তথ্যকোষ
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • প্রবন্ধ
    • শহীদ প্রোফাইল
    • মজলুমের আহাজারি
    • বিশেষ প্রতিবেদন
    • ডকুমেন্টারি
    • ছবি গ্যালারী
    • ভিডিও গ্যালারী
    • স্মরণীয় বরণীয়
    • প্রকাশনা
      • রুকন সিলেবাস
      • বই
      • স্মারক
      • বুকলেট/লিফলেট
      • পোস্টার
      • ফরম
  • নির্বাচন
    • মেয়র নির্বাচন
    • নির্বাচনী প্রকাশনা
    • অভ্যন্তরীণ নির্বাচন
    • স্থানীয় নির্বাচন
  • বাংলা
  • English

© ২০১৮ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ